বর্তমানে ছক ভেঙে একাধিক ধারাবাহিক প্রগতির কথা বলে। এক দিকে যেমন একশ্রেণির ধারাবাহিক চরম পর্যায়ের কুট-কাচালিকে টিআরপি-র অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে চায়, ঠিক তেমনই আবার কিছু কিছু ধারাবাহিক ছক ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার পথটা মসৃণ করে চলে। তেমনই এক উদাহরণ তৈরি করল এবার মিঠাই ধারাবাহিক। যেখানে চোখ রাখা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়া প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তরা। সময়ের সঙ্গে পাল্টাচ্ছে সমাজ। পাল্টাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। পুরোন ধ্যান ধারণা বুলে নয়, যা কিছু শুভ কেবল সেগুলোকেই সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যা ভুল, যা মানুষকে পিছিয়ে দেয়, তা যে বদলানর সময় এসেছে তাও এক প্রকার স্পষ্ট সকলের কাছে।
মিঠাই ধারাবাহিকের নতুন এপিসোড তেমনই এক উদাহরণ সৃষ্টি করল। কেবল সন্তান হলেই কি সাধের অনুষ্ঠানে পরিবারের প্রিয় মানুষের খুশির দিনে পাশে থাকা যায়! যদি কারুর মনে ইচ্ছে হয়, তবুও পুরোন ধ্যান ধারণা তাঁকে পিছিয়ে দেবে। কেন! এবার এমনই এক সহজ প্রশ্ন তুলল মিঠাই। সকলের সামনে বলল সে দিদিয়ার হাতেই পায়েস রান্না খাবে এটাই তার ইচ্ছে। নয়তো সে সেভাবে খুশি হতে পারবে না। ফলে নন্দার মনের কষ্ট পলকে দূর হয়ে যায়।
এখনেই শেষ নয়, সে আরও বলে, সাধের অনুষ্ঠানে কেন মায়েরাই একা বসবে। ছেলেদের কেন প্রবেশ থাকবে না। একটি মেয়ে যেমন মা হচ্ছে, একটি ছেলেও তো বাবা হচ্ছে। তাকেও এই বিশেষ দিনে ভাল ভাল খাবার খাওয়ান উচিত বলেই মিঠাই মনে করে। সেই বিশ্বাসের জেরেই এবার আরও এক নতুন নিয়মে সিডের পাশে বসেই সে পাত পেড়ে খাবার খেল। সঙ্গে মিষ্টি মুখ করল সিডও।