মিঠাই ধারাবাহিকে এখন নতুন অধ্যায়। পুজোর মৌসুম থেকেই বাড়িতে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছিল ছোট্ট হালুম। কথা না বললেও মিঠাইয়ের পিছু পিছু মোদক পরিবারে ঢুকেছিল সে। তবে থেকে পরিবারের একজন হয়ে ওঠা। মিঠাই তাকে সন্তান স্নেহে আগলে রাখতে শুরু করে। পরবর্তীতে যে এর জন্যই বেজায় মন খারাপ হতে পারে মিঠাইয়ের তা আগাম অনুমান করে নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। বারে বারে বলেছিলেন হালুমের প্রতি এতটা আকৃষ্ট হওয়া ঠিক নয়। যদিও মিঠাই সে সব কথা কানে তুলতে নারাজ। ফলে যা ঘটার তাই ঘটলো। হালুমকে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। এবার মিঠাই একা। সে কারো সঙ্গে কথা বলছে না, মন খারাপ করে সারাদিন বাড়িতেই পড়ে রয়েছে। ফলে কীভাবে মিঠাইয়ের মুখে হাসি ফেরানো যায় তা নিয়ে চিন্তায় সকলে।
অন্যদিকে দাদু জানতে চায় ঠিক কি ঘটেছিল হালুমের পরিবারের সঙ্গে। শ্রীতমা, সমস্তটা বুঝিয়ে বলে সকলকে। হালুমের মা বাবা দুজনেই ছিলেন বিজ্ঞানী। তারা মারণ রোগ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।। একটি ফর্মুলা আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই এক কু-চক্রের নজরে পড়ে যায় তারা।। সেখান থেকেই বিপদের আঁচ পেয়ে হালিমের পকেটে একটি সাদা কাগজের সাহায্য লিখে ছেলেকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন তার মা। হালুম যেন পুলিশ দেখা মাত্রই সেই কাগজটি দিয়ে দেয়। এর পরের ঘটনাটা সকলেরই জানা।
যদিও চলে যাওয়াটা মন থেকে মেনে নিতে পারছে না মিঠাই। সে মন মরা হয়ে ঘরে মুখ বুজে পড়ে রয়েছে। এরই মধ্যে পিংকিজির ফোন, বাড়িতে পালন করা হবে, করবা চৌথ। তার জন্যেই পরের দিন সকাল সকাল পরিবারের সকলেই হাজির। কিন্তু সিদ্ধার্ত জানে মিঠাই খুব একটা এই বিষয় ভাবছে না। তার মনে কেবল হালুম শোক। ফলে সিদ্ধার্থ সকলকেই বুঝিয়ে বলে সকলে যেন মিঠাই কে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। তাতেই নাকি মন ভালো হয়ে যাবে মিঠাইয়ের। তবে সত্যি কি করবা চৌথ এর অনুষ্ঠানে মিঠাইয়ের মুখে হাসি ফিরবে? জানতে গেলে চোখ রাখতে হবে কি করতে চলেছে এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।