‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে কিছুদিন আগে এসেছিলেন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। একটি সাঁওতাল নাচের তালে তাল মেলাতে দেখা যায় তাঁকে। সেই নাচে তাঁর সঙ্গে কোমর দুলিয়েছিলেন আরও তিন অভিনেত্রী ‘ব্রহ্মাস্ত্র’খ্যাত ভ্যাম্প মৌনী রায়, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। মহাগুরুর আসনে বসেছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। পাশে বসেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। নাচ শুরু হতেই মমতা শঙ্করের দিকে অপলক চেয়েছিলেন মিঠুন। তাঁর চোখের সামনে হাত দিয়ে চটকা ভাঙান অঙ্কুশ। সে এক মজার দৃশ্য।
মিঠুন-মমতার রসায়ন আজকের নয়। অনেকদিনের। সেই মৃণাল সেনের সময় থেকে। মৃণালের ছবি ‘মৃগয়া’তে এক সাঁওতালের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। বেঁকে-বেঁকে হেঁটেছিলেন তিনি। সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন সেই ১৯৭৬ সালে। সেই ছবিতে মিঠুনের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মমতা শঙ্কর। সেই থেকে তাঁদের বন্ধুত্ব। কানাঘুষো শোনা যায়, ‘মৃগয়া’য় অভিনয় করতে গিয়ে নাকি তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে আর কেমন কিছুই ঘটেনি মিঠুন-মমতার মাঝে।
‘মৃগয়া’র পর আর কোনও ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি মমতা-মিঠুনকে। তাঁদের পর্দায় ফের মিলিয়েছেন দেব। দেবের প্রযোজনায় তৈরি ‘প্রজাপতি’ ছবিতে মিঠুন-মমতা জুটির কামব্যাক নিঃসন্দেহে আলোড়ন তৈরি করেছিল। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ফের জুটি ফিরেছিল পর্দায়। এক অন্যধরনের হইচই তৈরি হয়েছিল যাকে বলে। ছবি দারুণ জনপ্রিয় হয় দর্শকের মধ্য়েও।