‘আমার হাসি আর নেই’। ফেসবুকে এই এক লাইনের আপডেট দিয়েছেন অভিনেত্রী ময়না মুখোপাধ্যায়। হাসি অর্থাৎ তাঁর পোষ্য সারমেয়। বন্ধু তালিকায় থাকা পোষ্য প্রেমীরা ময়নাকে শক্ত থাকতে বলেছেন।
হাসির মৃত্যুতে খুবই মন খারাপ ময়নার। তার মধ্যেই TV9 বাংলাতে তিনি বললেন, “আগামী ৩০ অক্টোবর ওর ১২ বছর বয়স হত। গত কয়েকদিন ধরে কিছু খাচ্ছিল না। আমি ভেবেছিলাম ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব বা বাড়িতে ডাক্তার ডাকব। বুঝতে বুঝতেই চলে গেল। এতদিন ধরে আমি দুবেলা ওর খাওয়ার সময় পাশে বসতাম। গত ১০দিন এত ব্যস্ততা চলছে যে সময় পাইনি। বাড়ির লোককে কোনও বিরক্ত করেনি। নিজের শরীরের কষ্ট সেটা বুঝতে দিল না।”
হাসির সঙ্গে ময়না। ছবি সৌজন্যে ময়না মুখোপাধ্যায়।
ময়নার বাড়িতে আরও দুটি পোষ্য রয়েছে। তাঁর যমজ সন্তানও পোষ্যদের সঙ্গে খেলা করেই বড় হচ্ছে। ময়না বললেন, “ছেলেরা এখনও ততটা বুঝতে পারছে না। এর আগে একটা ছিল, খুশি। ওর কয়েকদিন পরেই হাসি এসেছিল। পাগকে খুব যত্ন করতে হয়। স্নান করানো, খাওয়ানো সব নিজের হাতে করতাম। আমি শুটিংয়ে ছিলাম আজ। ধুলোকণার সেটে। ওরা খুব সাহায্য করেছে। খবর যাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে আমার সিনগুলো করিয়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল।”
ময়না আরও জানালেন, বরাবরই পোষ্য ভালবাসেন তিনি। একটি পোষ্যকে সঙ্গ দিতে আরও একটি পোষ্য এনেছেন। অনেকেই নাকি বলেছিলেন, নিজের সন্তান হলে পোষ্যদের প্রতি যত্ন কমে যাবে। বাস্তবে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
‘ধুলোকণা’ ছাড়াও এই মুহূর্তে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ময়না। তবে ‘ধুলোকণা’য় যে চরিত্রে তিনি সুযোগ পেয়েছেন, তার জন্য চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। ময়না বলেছিলেন, “সব পজিটিভ চরিত্র যে এক হবে, তার তো কোনও মানে নেই। এত সুন্দর করে চরিত্রায়ণ করছেন লীনাদি, কাজ করতে দারুণ লাগছে। লীনাদির গল্প আর ডায়লগ তো স্পেশালিটি। প্রথমে অন্য চরিত্র নিয়ে কথা হয়েছিল। আমিও ভেবেছিলাম, এত বছর ধরে তো পজিটিভ চরিত্র করছি। আবার একটা পজিটিভ চরিত্র! কিন্তু পরে ওর উপরেই পুরোটা ছেড়ে দিয়েছিলাম। উনি লিখছেন মানে চরিত্রটা অন্যরকমই হবে। সেই সুযোগ বড় পাওনা।”
আরও পড়ুন, ছেলের অন্নপ্রাশনে নিজের হাতে আসন সেলাই করলেন স্নেহা, ‘তুরুপের মুখে ভাত’…