জয়িতা চন্দ্র
বৃহস্পতিবার বেলায় হঠাৎই মেলে অভিনেত্রী নবনীতা দাসের পোস্ট। বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন জিতু কামাল ও নবনীতা দাস। পোস্টে লেখা “আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে ভাল নেই। প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়ের এর ইতিটা নয়, এই ভাবেই হোক। ভাল থেকো জিতু কামাল।” এরপরই TV9 বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রী নবনীতা দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সত্যি আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমরা তিন মাস ধরেই আলাদা আছি, লন্ডন যাওয়ার আগে থেকেই। এটুকু বলতে পারি, আমার জন্য এটা জানান ভীষণ জরুরী ছিল। আমি তো অত গুছিয়ে কিছু বলতে পারি না, তাই নিজের মনের অনুভূতিটুকুই লিখেছি। ও ভাল থাকুক।’ যদিও এরপর জিতু কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টাকে মজার ছলে উড়িয়ে দেন। জানান, ‘ও তো বাচ্চা…।’
এরপর পুনরায় TV9 বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। জিতু তো এক কথায় অস্বীকার করে গেলেন বিষয়টা, প্রশ্ন করায় নবনীতা বললেন, ‘আমায় ফোন করেছিল তোমাদের থেকে ফোন পাওয়ার পর। আমি জানিয়েছি, ‘দেখ আমি আমার সিদ্ধান্তটা জানিয়েছি, তুমি তোমার সিদ্ধান্ত জানিও।’ ওর যদি অন্য কোনও কারণ মনে হয়, তোমরা সেটা বলতেই পার। কারণ আমি ওর দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে চাই না, আমিও ওকে অনুপ্রাণিত করতে চাই না। সে যে কোনও ক্ষেত্রেই হোক, ‘এটা বল’, বা ‘এটা জানাও’। আমি শুধুই আমার বক্তব্যটা লিখেছি এখানে। এটা স্বাভাবিক যে ওর কাছে এটা আচমকা। সেই কারণেই তোমাদের বলেছে ‘ও তো বাচ্চা…, নিজের অভিমান থেকে শেয়ার করেছে’। কিন্তু মোটেও এমন নয়, যে আমরা প্রথম দিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর প্রথম দিনই আলাদা হয়ে গিয়েছি।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরাও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই আলাদা থাকি, গত তিন মাস ধরে। তারপরই আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি। এটা এমন নয় যে একদিন ঝগড়া হল আর আমি পোস্ট করে ফেললাম। সেই বোকামো হয়তো আমরা কেউই করতে চাই না। করবও না কোনওদিন। জিতুর সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চয় আমি এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। তবে এটা ঠিকই যে আলাদা থাকলে এই পোস্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা কমই হয়। সেই জায়গা থেকেই হয়তো ও আশা করেনি যে এখনই এই বিষয়টা নিয়ে কথা হোক। তবে এটা আমাদের দুজনেরই সিদ্ধান্ত।’ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত কি কেবল মৌখিক, নাকি তা গড়িয়েছে আইনের দরজায়? উত্তরে তাঁরা বিবাদ বিচ্ছেদ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই করেছেন বলে জানান নবনীতা।