পরিবারের মাঠা এখনও সিদ্ধেশ্বর মোদক। তাঁর কথাই শেষ কথা। মিঠাই ও সিডও জানে দাদু একবার যা বলে দিলেন, মানে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি মনোহরা। দাদু বানিয়েছিলেন। এই জমির ওপর এখন নজর প্রোমোটারের। বাড়ি ভেঙে তৈরি করা হবে ফ্ল্যাট। আর সেই প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই নাকোচ করে দিলেন সিদ্ধেশ্বর মোদক। এক কিছুক্ষমের মধ্যেই দুর্যোগ। বাড়ির দোকানে লাগে আগুন। দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা বেশি সময় নেয়নি কেউই। তড়িঘড়ি বিল্ডারের কাছে হাজির মিঠাই, সিড ও রুডি। তিন জনের কথার ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। পুলিশকে ঢুকতে দেখে এক কথায় চমকে যায় বিল্ডার।
তিনি আঁচ করেন, সবটাই মোদক পরিবারের সদস্যরা বুঝে গিয়েছে। মিঠাই সোজা প্রশ্ন করে বসেন, বাড়ির প্রস্তাব ফেরানোর পরই দোকানে আগুন, এর মধ্যে কোনও নতুন যোগসূত্র নেই তো! কারণ এই ধরনের সমস্যা হামেশাই ঘটতে দেখা যায়। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে পরিবারকে সমস্যায় দেখতে নারাজ মিঠাই। পাশে বসে থাকা সিডও জেরা করতে পিছপা হয় না। সেও বোঝায়, যে তারা এতটাো বোকা নয়। এর সঙ্গে তাদের কোনও হাত আছে কি না জানতে চায়। বিপরীতে বসে থাকা ব্যক্তিটি আমতা আমতা করায় অবশেষে মুখ খোলে রুডি। সে জানায়, যদি কোনও সমস্যা থাকে তাকে যেন জানানো হয়, সে এলাকার সব সমস্যা দূর করে দেবে।
এখানেই শেষ নয়, রুদ্র আরও জানায় যে মনোহরা তার পরিবার। ফলে সেই পরিবারের দিকে কোনও ভুল নজরে তাকালে যে সে ছেড়ে কথা বলবে না, তা এক প্রকার স্পষ্ট করে দেন তিনি। অন্য দিকে ওমির দারাও একের পর এক চাল বুনে চলেছে। কীভাবে মনোহরাকে বিপদে ফেলা যায় সেই চেষ্টায় মরিয়া সে। ফলে এখন জোড়া বিপদ মিঠাইয়ের সামনে, কীভাবে পারবে পরিবারকে রক্ষা করতে, জানতে দেখুন আগামী পর্ব।