ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে অভিযোগ হাজারও। দর্শক টানতে এমন সব প্লট সেখানে নিয়ে আসা হয় যে হেসে কুল পান না দর্শক। হয় ট্রোলিং, হয়তা নিয়ে নানা কটাক্ষ। এবার এমনই এক ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হল ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী শর্মাকে। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে আটকারে যোগিনী বেশে হাজির হতেই ট্রোলের ভরল নেটপাড়া। এই মুহূর্তে ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন পল্লবী। সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের তরফে ওই ধারাবাহিকেরই একটি প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে গতকাল অর্থাৎ সোমবার। সেখানেই দেখা যাচ্ছে সৃজন (রুবেল দাস)-এর দ্বিতীয় বার বিয়ে দিতে চাইছেন তাঁর মা। ছেলে মায়ের বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর কপালে সিঁদুর পরাতে যাবেন এমন সময়েই সেখানে হাজির পর্ণা (পল্লবী শর্মা)। তাঁর যোগিনী বেশম হাতে রয়েছে ত্রিশুল। অথচ বাড়ির একদা বৌমাকে চিনতেই পারলেন না কেউই। শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করলেন, “কী চান?” উত্তরে সেই ভেকধারী প্রথম বৌমা বলে উঠল, “তোর বাবুকে”। মা ছেলেকে যে ওই ‘বাবু’ বলেই ডাকে। আর ওই ভিডিয়ো আসতেই নেটিজেনদের প্রশ্ন, “এত বছর সংসার করার পরেও শাশুড়ি চিনতে পারল না বৌমা কে। সিরিয়াল বলেই সম্ভব”। অনেকেই আবার ২০২৩-এ দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া নিয়েও করেছেন কটাক্ষ। যদিও তাতে কী? দিনের শেষে ওই ধারাবাহিক কিন্তু থাকে প্রথম পাঁচের মধ্যেই।
পল্লবী শর্মার জীবনে ট্রোলিং নতুন কিছু নয়। এর আগে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে ‘জবা’র ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ওই ধারাবাহিকেও এমনই এক প্লটের জন্য তাঁকে নিয়ে মিমে ভরেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও ট্রোলের জবাবে টিভিনাইন বাংলাকে পল্লবীর বক্তব্য, “আমি এই বিষয়টা দেখি খুব পজেটিভভাবে। মানুষের জীবনে তো প্রচুর কাজ। যখন দেখি মানুষ আমায় নিয়ে ট্রোল করছে, মানুষ আমায় নিয়ে ভাবছে, ট্রোল করছে, আমি তাতেই ভীষণ খুশি। বরাবরই পজেটিভভাবেই দেখে এসেছি ট্রোলিং-কে। কারণ আমি চর্চায় আছি মানেই আমায় নিয়ে সবাই ভাবছে। এটা আমার সিরিয়াল লোকে দেখে বলেই ঘটছে। তাই জানতে পারছে আমি সিরিয়ালে কী করছি না করছি। এবং আমি দর্শকের থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। যাঁরা ট্রোল করেন আমি তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমায় এতোটা ভালবাসা দেয়। আমার সিরিয়ালকে এতোটা ভালবাসা দেয়।” আর কেরিয়ারের প্রথম দিকে? ট্রোলিং নিয়ে কি মন খারাপ হয় না তাঁর? পল্লবী যোগ করেন, “সত্যি বলতে কি কখনই আমি এতোটা ভাবিনি। আর ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের পর তো আর ভাবতেই হয়নি। জবা চরিত্রটাকে দর্শক এতো ভালবাসা দিয়েছেন যে তাতেই আমি খুশি।”