গত ১৩ দিন ধরে চলছে ঐন্দ্রিলার লড়াই। একের পর এক খবর ঘিরে বাড়ছে শুভাকাঙ্খীদের উদ্বেগ। কেমন আছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা, তা জানার জন্য প্রতিটা মুহূর্তে মুখিয়ে রয়েছেন সকলেই। যদিও সব্যসাচী চৌধুরী কখনই চাননি যে এই প্রসঙ্গে কেউ কথা বলুক। ভুয়ো খবর চোখে পড়ায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন এই ধরনের খবরকে ক্লিকবেট করার জন্য ভুলভাবে উপস্থাপনা করার। ফলে নিজেই খুব একটা মুখ খোলেননি সব্যসাচী। সেই অভিনেতাই সোমবার নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয়। রাত ৮টা নাগাদ একটি পোস্ট করেচিলেন তিনি। লিখেছিলেন- ‘কোনওদিন এটা লিখব ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। মিরাকেলের জন্য প্রার্থনা করুন। অলৌকিক কিছুর জন্য ঘটুক, প্রার্থনা করুন। লড়ছে ঐন্দ্রিলা, মানুষের চেষ্টার উর্দ্ধে উঠে।’
এরপর থেকেই উদ্বেগে সকলের ঘুম উড়ে যায়। সকলেই নানা ভাবে খবর জানার চেষ্টা করে কেমন আছে ঐন্দ্রিলা। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও আশার খবর তাঁরা জানাতে পারেন না। যার ফলে সকলেই এক যোগে প্রার্থনা করা শুরু করে দেয়। তালিকায় টলিউড থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই সামিল। জিতু কামাল সব্যসাচীর পোস্টটি দেখা মাত্রই লিখেছিলেন,- ‘ঈশ্বরকেও কখনও কখনও মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন…যে এই ছেলেটির নাম সব্য…
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় লিখলেন- ‘চলুন সকলে মিলে এই তরুণ মেয়েটির জন্য প্রার্থনা করি, সেই অভিভাবকদের জন্য প্রার্থনা করি যাঁরা অক্লান্ত ভাবে মেয়েটির সঙ্গে লড়ে চলেছেন, পাশে রয়েছেন।. আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের কাউকেই চিনি না। তবে ওদের লড়াইকে স্যালুট। যেভাবে সব্যসাচী তুমি মেয়েটির লড়াইয়ে সঙ্গ দিচ্ছ, নিজে লড়ছো, এটাই এক বিশুদ্ধ বিশ্বাস আর ভালবাসার সংজ্ঞা। হ্যাঁ আমরা তোমার কথা শুনেছি, মিরাকেলের জন্য প্রার্থনাও করে চলেছি’।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সংক্রমণ কিছুতেই কমছে না ঐন্দ্রিলা শর্মার। ডাক্তারদের মূল চিন্তার কারণ এখন সেটাই। পাল্টানো হয়েছে ওষুধ, তবে গায়ে জ্বর বর্তমান, যার ফলে সংক্রমণ কমানো সম্ভব হচ্ছে না, সেটাই বাড়িয়ে তুলছে চিন্তা।