জি বাংলার ধারাবাহিক পিলুতে এখন খুশির হাওয়া। রঞ্জা ও মল্লারের মধ্যে থাকা সম্পর্ক নিয়ে যত বিবাদ সবটাই এখন অতীত। পিলুর মনের ইচ্ছে পূরণ হল। বিয়ের দিন ঘটে যায় মিরাকেল। রঞ্জা ও মল্লারের মনের কথা শুনতে পায় ঈশ্বর। মল্লার প্রথমে রঞ্জার ক্ষতি করার চেষ্টাই করেছিল, এমনটাই ধারনা ছিল গুরুজির। তবে তেমনটা যে ঠিক নয়, তা নিজে মুখেই স্বীকার করে নেয় মল্লার। তাঁর কথায়, সে কোনও দিনই চায়নি রঞ্জার ক্ষতি করতে। সে কখনই চায়নি যে তার জন্য রঞ্জার ক্ষতি হোক। তবে মল্লার কেন ছেড়ে গেল রঞ্জাকে, কেন উঠল বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ! এতে অপমান হয়নি রঞ্জার! এতে তার ক্ষতি হয়নি!
যদিও উত্তরে চুপ তাকে মল্লার। সে বুঝে উঠতে পারে না, ঠিক কী বলবে, কাকে বলে বোঝাবে। শুধু মনের কথাটুকু খুলে বলে সকলের সামনে। তখনই বিয়ে নিয়ে সমস্ত ঝড় কেটে যায়। রঞ্জা ও মল্লারের বিয়েতে রাজি হয়ে যান গুরুজি। এরপরই খুশির হাওয়ার পরিরারের সকলের মুখে। পাশাপাশি বক্তদের মনেও বেশ আনন্দ, পিলু ধারাবাহিকের ভক্তদের মনেও এই নিয়ে ছিল একটাই প্রশ্ন, তবে কী রঞ্জার কপালে একনও কেবল দুঃখই রয়েছে। আহিরকে ভালবেসে সে তাকে পায়নি, এবার যদি মল্লারকে ভালবেসে ঠকতে হয়, সে কী পারবে সামলে নিতে!
হয়তো নয়। এই নিয়েই ছিল টানাপোড়েনের গল্প। তবে এখন সেই দুর্যোগের কালো মেঘ কেটে গিয়েছে। সবটাই এখন স্বাভাবিক। আদিত্য নারায়ণের একটাই স্বপ্ন, সম্মান বাঁচাতে, ঘরানা বাঁচাতে মেয়ের আবার বিয়ে দেওয়া। তবে সত্যি কি তা সম্ভব হবে! বসু মল্লিক পরিবারের সঙ্গে যে সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছে রঞ্জা, তা কি সে ঝেড়ে ফেলতে পারবে! হয়তো নয়। কারণ একটাই, মল্লারকে সে ভালবাসে। এই অবস্থায় আরেকটা বিয়ে, নিজের সঙ্গে যুদ্ধে বারে বারে হেরে যাচ্ছে রঞ্জা। সবটা লক্ষ্য করেই গুরুজি স্থির করেন যে তিনি সব ছেড়ে চলে যাবেন। তবে পরবর্তীতে এমনটা আর ঘটে না।