জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক পিলুতে এখন টানটান উত্তেজনা। পিলু ধারাবাহিকে এখন নয়া মোড়। একের পর এক বড় ধাক্কার মুখোমুখি রঞ্জা। ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই তার জীবনে যে রঙ বদল দেখান হয়েছে, তা এক কথায় সত্যিই বেশ কষ্টের। আহিরকে পছন্দ ছিল রঞ্জার, ভাগ্যের পরিহাসে সেখান থেকে সরে দাঁড়াতে হয় একটা সময় পিলুর জন্যই। বিয়ে হয় মল্লারের সঙ্গে। সময় পরিস্থিতি সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হতেই জীবনে নেমে আসে নতুন ঝড়। মল্লার সবটা যেন ভেঙে দেয় চোখের সামনেই। তবে সেক্ষেত্রে মল্লারের দোষ ছিল না বললেই চলে। রঞ্জার ভাল চেয়েই দিয়েছিলেন ডিভোর্সের পেপার। তবে তা গিয়ে আঘাত করে রঞ্জার বাবা অর্থাৎ আদিত্য নারায়ণ মুখোধ্যায়কে। তিনি স্থির করেন যে চন্দননগর ছেড়ে চলে যাবে। তাঁর মেয়ের কাছে তিনি মৃত।
আদিত্য নারায়ণের একটাই স্বপ্ন, সম্মান বাঁচাতে, ঘরানা বাঁচাতে মেয়ের আবার বিয়ে দেওয়া। তবে সত্যি কি তা সম্ভব হবে! বসু মল্লিক পরিবারের সঙ্গে যে সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছে রঞ্জা, তা কি সে ঝেড়ে ফেলতে পারবে! হয়তো নয়। কারণ একটাই, মল্লারকে সে ভালবাসে। এই অবস্থায় আরেকটা বিয়ে, নিজের সঙ্গে যুদ্ধে বারে বারে হেরে যাচ্ছে রঞ্জা। সবটা লক্ষ্য করেই গুরুজি স্থির করেন যে তিনি সব ছেড়ে চলে যাবে। আর কোনও দিন ফিরবেন না।
এমন সময় মল্লার জানান, রঞ্জার এই বিয়ে যদি না দেওয়া হয়, তবে গুরুজি কষ্ট পাবেন। ফলে মল্লার ক্ষমা চাইবার কথা ভুলে গিয়ে বিয়ের কথা ভাবতে থাকে। সাহায্য চায় পিলু ও আহিরের কাছে। কোনওভাবে যদি আটকানো যায় গুরুজিকে। কারণ তিনি চলে গেলে রঞ্জা বড়ই একা হয়ে যাবে। কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চলেছে র়ঞ্জা! তবে কি মল্লারই দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেবে রঞ্জার! উত্তর মিলবে আগামীতে।