প্রীতি বিশ্বাসকে চেনেন? একাধারে তিনি অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ী। সামাজিক মাধ্যমে খুবই সক্রিয় প্রীতি। হামেশাই ফেসবুজ থেকে ইনস্টাগ্রাম ভরে যায় তাঁর নানাবিধ পোস্টে। এমনকি লাইভেও আসেন অভিনেত্রী। সংযোগ স্থাপন করেন তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে। শুধু কি তাই? স্বামী রাহুল মজুমদারও অভিনেতা। তাই তাঁকে নিয়েও লাইভে আসেন তিনি। হাজির থাকেন অভিনেত্রীর মা-ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটা সক্রিয় প্রীতিই নিয়ে ফেলেন এক বড় সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল মিডিয়াকে জানালেন বিদায়। আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত? সে কারণও জানিয়ে গেলেন তিনি। প্রীতি লেখেন, ” কিছুদিন ধরেই দেখছি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব বেশি সময় দিয়ে ফেলছি। আর সেই কারণেই ব্রেক নেওয়ার কথা ভাবলাম। আমার পেজ চেক করতে আমি পারব না। আমি দুঃখিত।” প্রীতির এই সিদ্ধান্তে যেমন মন খারাপ ভক্তদের, একই সঙ্গে তিনি হয়েছেন ট্রোল্ডও। অনেকেই লিখেছেন, তিনি থাকবেন কি থাকবেন না, তা নিয়ে তাঁদের কিছু যায় আসে না।” যদিও ভক্তরা করেছেন আকুতি। খুব শীঘ্রই যেন ফিরে আসেন প্রীতি, এমনটাই ইচ্ছে তাঁদের।
কিছুদিন আগেই রটেছিল স্বামী রাহুলের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না তাঁর। রটেছিল তাঁরা নাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। যদিও সেই গুঞ্জনকে কার্যত নস্যাৎ করে প্রীতি ও রাহুল উড়ে গিয়েছিলেন সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে। রাহুল খেলেছিলেন, সঙ্গে ছিলেন প্রীতি। এই মুহূর্তে কেরিয়ারে ভীষণ ব্যস্ত দু’জনেই। ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে রাহুলকে। এই ধারাবাহিকের প্রযোজক যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। অন্যদিকে প্রীতিও কিন্তু বসে নেই। তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘বালিঝড়’ ধারাবাহিকে। প্রসঙ্গত, ‘সোশ্যাক ডিটক্স’ কথাটি বর্তমানে সেলেবদের কাছে নতুন কিছু নয়। অনেক সময়েই দেখা যায়, সেলেবরা করে থাকেন সোশ্যাল ডিটক্স। অর্থাৎ ব্রেক নেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। এবার প্রীতিও সেই পথেই হাঁটলেন। তিনি কবে ফিরবেন, এখন সেটাই দেখার।