সদ্য বাবাকে হারিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন। তবে জীবন থেমে থাকার নয়। তাই তিনিও কাজে ফিরলেন। আজ শনিবার থেকে ফের শুটিং শুরু করলেন রচনা।
শুটিং সেট থেকে রচনা ফেসবুক লাইভে বলেন, “অনেকদিন পরে দিদি নম্বর ওয়ান-এর শুটিংয়ে এলাম। এ আমার নিজের ঘরে ফিরে আসা। আবার দেখা হবে সোমবার থেকে। এই কয়েকদিন আসতে পারিনি। আপনারা সকলে জানেন, কেন আসতে পারিনি। আবার আপনাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করব। সুদীপা এবং সৌরভ এই কয়েকদিন আপনাদের আনন্দ দিয়েছে। আমি ওদের কাছে গ্রেটফুল। আশা করি ওরা অনেক আনন্দ দিতে পেরেছে। আপনারা আমাকে খুব একটা মিস করেননি। আর যাঁরা খুব মিস করেছেন, তাঁরা অনেক মেসেজ পাঠিয়েছেন। আমি এখনও সামলে উঠতে পারিনি। তবে কাজ তো করতেই হবে। জীবন কখনও থেমে থাকে না। আমিও কাজ করতে চলে এসেছি।”
সদ্য ফেসবুকে বাবার একটি ছবি শেয়ার করেছেন রচনা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাপি… ভাবিনি একদিন একা হয়ে যাব। ভাবিনি তুমি চলে যাবে এখনও অনেকগুলো বছর তোমাকে ছাড়া কাটাতে হবে। তোমার আশীর্বাদ আমাদের সাথে আছে আমি জানি। থাকবো…. থাকতে হবে। তুমি ভালো থেকো বাপি।’
কেরিয়ারের প্রতিটি ধাপে বাবা, মায়ের সমর্থন পেয়েছেন রচনা। তাঁদের উৎসাহ, আশীর্বাদই তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। এত বছর পথ দেখিয়েছেন তাঁরাই। রচনার ছেলে প্রণীলের সঙ্গেও দাদুর অত্যন্ত ভাল বন্ধন ছিল। ফলে তাঁর আচমকা প্রয়াণ এখনও মেনে নিতে পারছেন না কেউই। দীর্ঘ কয়েক বছর হল, ছবির জগৎ থেকে অনেকটা দূরে রচনা। অনেক বেছে কাজ করেন এখন। আপাতত টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে প্রতিদিন দেখেন দর্শক। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা এসে তাঁদের লড়াইয়ের গল্প শোনান। রচনাও তাঁদের গল্পের শরিক। তাঁদের সাহস দেন প্রতিনিয়ত।
আরও পড়ুন, Rajkummar Rao and Patralekhaa: বিয়েতে অনুপস্থিত অতিথিদের উপহার পাঠালেন রাজকুমার-পত্রলেখা