‘আলোর ঠিকানা’ নামের একটি ধারাবাহিকে সম্প্রতি অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু এবং রাহুল দেব বসু। সেই ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকার চরিত্রে দেখা যায় তাঁদের। ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়েই একে-অপরের কাছে চলে এসেছেন রাহুল-দেবাদৃতা। ‘আলোর ঠিকানা’তেই ‘মনের ঠিকানা’ পেয়ে গেলেন তাঁরা। এবং আজ (২৪ অক্টোবর, ২০২৩) বিজয় দশমীতে ভাসানের নাচ করতে গিয়ে ঠিক করেন গোটা দুনিয়াকে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানাবেন। সিঁদুরে মাখামাখি দেবাদ্রিতার মুখ এবং তাঁকে আগলে একটি সেলফি পোস্ট রাহুলের। ক্যাপশন বলছে, “আমাদের থেকে আপনাদের কাছে। গৌরব আলোকে পায়নি, কিন্তু রাহুল পেল দেবাদৃতাকে” (‘আলোর ঠিকানা’ ধারাবাহিকে গৌরব ছিল রাহুলের চরিত্রের নাম এবং আলো দেবাদৃতা।) তাতেই স্পষ্ট হয়েছে কেবলই কলিগ নন, পর্দার নায়ক-নায়িকা নন, বাস্তবেও তাঁরা একে-অপরের সঙ্গে জড়িয়েছেন রোম্যান্টিকভাবে।
TV9 বাংলা যোগাযোগ করে রাহুলের সঙ্গে। একদিকে মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জন। অন্যদিকে রাহুলের গলায় ভেসে আসা প্রেমিক ধরা পড়লেন ফোনের ওপারে। বললেন, “প্রায় ৮-৯ মাস এই প্রেমকে আমরা লালন করেছি নিজেদের মধ্যে। ভেসে গিয়েছি বলতে পারেন। আমরা একে- অপরকে খুঁজে পেয়েছি। তাই বিজয় দশমীর দিন হঠাৎই দু’জনে ঠিক করলাম, আর লুকিয়ে রাখব না। সব্বাইকে জানিয়ে দেব। আমরা বলতে চাইছি, উই আর ইন লাভ।”
বাংলা সিরিয়ালের দাপুটে খলনায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। ‘বাজলো তোমার আলোর বেনু’ থেকে শুরু করে ‘নবাব নন্দিনী’ পর্যন্ত একে-একে প্রত্যেকটি ধারাবাহিকে ‘খল’চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তিনিই সেই অভিনেতা যাকে প্রধান পুরুষ চরিত্রে কাস্ট করা হয়, যে পুরুষ চরিত্র ‘খল’। হিরো হয়েও তিনি ভিলেন। অন্যদিকে ‘জয়ী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোট পর্দায় পদার্পণ করেছিলেন দেবাদৃতা। তারপর বেশকিছু ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যায় প্রধান চরিত্রে।
রাহুল পেলেন দেবাদৃতাকে। এবং দেবাদৃতা পেলেন রাহুলকে। ২০২৩ সালের এই বিজয় দশমী তাঁদের কাছে সত্যিই খুব স্পেশাল।