একবছরের মাথায় শেষ হয়ে গেল স্টার জলসার ধারাবাহিক গোধূলী আলাপ। অভিনয়ে ছিলেন কৌশিক সেন। অসময় বয়সের সম্পর্ক, পারিবারিক টানাপোড়েন নিয়ে ভালই শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকের সফর। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই টিআরপির তালিকা থেকে তা নিজের জায়গা হারাতে থাকে। যদিও মোটের ওপর এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা কম ছিল না। তবুও এক বছরের মাথায়ই ধারাবাহিক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল চ্যানেল। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে লিখলেন, টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষকে আনন্দ দিয়ে অবশেষে “গোধূলি আলাপের” পথ চলা শেষ হবে আজ। ধন্যবাদ গোধূলি আলাপ-এর সমস্ত সদস্য এবং স্টার জলসা-কে। আবার দেখা হবে নতুন শো-এ নতুন ভাবে৷
নোলকের স্বামী অরিন্দমের সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন কয়েকদিনের মাত্র। অরিন্দমের প্রায় হাঁটুর বয়সি নোলক। সিরিয়াল শুরুর সময় প্রোমোতে অরিন্দমকে ‘কাকু’ সম্বোধন করেছিল মেয়েটা। তারপর তারই সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দেখে আলোচনাও হয়েছিল বিস্তর। আসলে মা-মাসিদের জন্য তৈরি বাংলা সিরিয়ালে এটা একটু সাহসী টপিক। অসমবয়সি বিয়ে বিষয়টা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে আগে থেকে আশঙ্কা করেছিলেন নির্মাতারা। নতুন কিছু করে দেখানোর জেদ ছিল বলেই এই ঝুঁকি তাঁরা নিয়েছিলেন। অল্পদিনের মধ্য়েই লোকে প্রশংসা করেছিল এই ধারাবাহিকের।
গল্পের জন্য মাঝে মধ্যেই চরম সমালোচনা যেমন জুটেছিল, তেমনই আবার সাহসী পদক্ষেপের জন্য বারে বারে প্রশংসাও পেয়েছে এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিক শেষে নোলকের চোখে ছিল জল। TV9 বাংলাকে এই চরিত্র নিয়ে কৌশিক বলেছিলেন, ‘গোধূলি আলাপ’-এ আমার চরিত্রটা কিন্তু রক্ত মাংসের। সে একজন আইনজীবী। বেশি বয়সে বিয়ে করেছে বলে চারদিক থেকে গালাগাল খায়। অল্পবয়সি একটি মেয়েকে নিয়ে লোকটা অসুবিধের মধ্যে পড়েছে। তাকে ভালও লাগে আবার মেনেও নিতে পারে না। দায়িত্ববোধও আছে তার। মানুষ হয়তো সব সময় কমিউনিকেট করতে পারে না। ক্রাশের মতো শব্দগুলো ব্যবহার করা হয় তখন। দর্শক যখনই চরিত্রগুলোর সঙ্গে রিলেট করতে পারে, তখনই কিন্তু চরিত্রটার প্রতি একটা ভাল লাগা তৈরি হয়।