বিয়ের পর মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন রাখি সাওয়ান্ত। আদিল খানকে বিয়ে করে নাম নিয়েছিলেন ফাতিমা খান। এখনও হয়নি বিবাহ বিচ্ছেদ। স্বামীর নামে একাধিক অভিযোগ। ভেঙেছে সম্পর্ক। তবে আদিলের ঈশ্বরকে নিয়ে রাখির মনে কোনও প্রশ্নই নেই। তাঁর কথায়, আদিল তাঁকে কিছু দিতে পারুক বা নাই পারুক, তাঁকে ঈশ্বর দিয়েছে। তাই ইসলাম ধর্মের প্রতিটা নিয়মই তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছেন। তালিকা থেকে বাদ পড়ল না রমজান মাসও। রোজা রেখেন রাখি। ইফতার করতে দেখা যায় তাঁকে। সদ্য সেই ভিডিয়ো ভাইরাল। আবার দুদিন আগেই তিনি চার্চ খুঁজছিলেন প্রার্থনা করবেন বলেন। আর রাখির এই দুই ভিডিয়ো ঘিরেই এবার জল্পনা তুঙ্গে। ইফতারের ভিডিয়োতে তার ঝলক বর্তমান। কমেন্ট বক্সে এল, ‘একই অঙ্গে অমর-আকবর-অ্যান্টনি’।
কমেন্ট বক্সে কেউ লিখলেন, ‘সে কখনও খ্রীস্টান, কখনও মুসলিম… যাই হোক ভাল থাকবেন।’ কেউ আবার লিখলেন, যাই করবেন, ‘মন শুদ্ধ করে করবেন।’ গত কয়েকমাসে পাল্টে গিয়েছে রাখি সাওয়ান্তের সম্পর্কের সমীকরণ। রাখি সাওয়ান্ত বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্যক্তিসমস্যার জেরে খবরের শিরোনামে বারে বারে নাম লিখিয়েছেন। আদিল খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ বর্তমানে কোর্টের দরজায় পৌঁছে গিয়েছে। একটাই দাবি রাখির, আদিল যেন আর কারও জীবন এভাবে নষ্ট না করে। যদিও রাখির মনের গভীরে থাকা সম্পর্কের সমীকরণ আজও বোধহয় অন্য সুরে কথা বলে। একাধিক অভিযোগের মাঝেই কাঁদতে কাঁদতে রাখি বলে ফেলছেন, তিনি আদিলকে ফিরে পেতে চান। তবে এখন সে সব অতীত। চোখের জল মুছে নতুন করে সবটা শুরু করতে মরিয়া অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত।
ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে রাখি বলেছিলেন, ”আজ সকালে যখন আমি নামাজ পড়ছিলাম তখনই আমার মনে একটা ভাবনা এল। রমজানের মানে কি? মানুষকে ক্ষমা করা। আদিলকে তো ক্ষমা করতে পারব না মন থেকে। তবে আমি প্রার্থনা করতে পারি যে আদিল যেন দ্রুত বেল পেয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, রাখি আরও বলেন, আমি ওর খুব ভাল স্ত্রী হয়ে ছিলাম। তবে ও আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমার এতটা ভালবাসা উচিত হয়নি। আমি চাই ও জামিন পাক। যদিও অভিযোগ যথেষ্ট গুরুত্বপূ্রণ। আমি মিডিয়ার সাহায্যে ওর কাছে একটাই অনুরোধ করতে চাই, আদিল যদি তুমি জামিন পেয়ে যাও, দয়া করে আর কারও জীবন নষ্ট করো না। নিজেকে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করো। আমি কোনও দিন আদিলের কাছে ফিরব না। আমি ওর জন্য প্রার্থনাটুকুই করতে পারি।”