Rezwan Rabbani Sheikh: ‘সাঁঝের বাতির সেটে রিজওয়ানের জন্মদিন সেলিব্রেশন
Rezwan Rabbani Sheikh: চিত্রনাট্য অনুযায়ী কিছুদিন আগেই এই ধারাবাহিকের গল্প এগিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। কাস্টেও বদল এসেছে। তবে মুখ্য দুই অভিনেতা অর্থাৎ অনস্ক্রিন চারু-আর্যর কোনও বদল ঘটেনি।
জন্মদিন। সকলের কাছেই কম-বেশি স্পেশ্যাল। ব্যতিক্রম নন অভিনেতা রিজওয়ান রব্বানি শেখও। সদ্য জন্মদিন পেরিয়ে গেলেন তিনি। বন্ধু, আত্মীয়, কাছের লোকেদের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটা সেলিব্রেট করতে ভালবাসেন তিনি।
এই মুহূর্তে ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত রিজওয়ান। সেখানেই সেলিব্রেট করা হল তাঁর জন্মদিন। কাজের প্রয়োজনে এতটা সময় শুটিং সেটে থাকতে হয়, সহকর্মীরাও কোথাও পরিবার হয়ে ওঠেন। তাই বৃহত্তর এই পরিবারের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন সেলিব্রেট করে দারুণ খুশি রিজওয়ান। এই সেলিব্রেশনের অনেকটা অংশ ইনস্টাগ্রাম লাইভের মাধ্যমে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি। শুধু ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরাই নন, ভার্চুয়ালিও বহু অনুরাগী তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি জন্মদিন সেলিব্রেশনের সময় যে ভাবে গোটা টিম এগিয়ে এসেছিলেন, তাও প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করেন দর্শকের বড় অংশ।
View this post on Instagram
চিত্রনাট্য অনুযায়ী কিছুদিন আগেই এই ধারাবাহিকের গল্প এগিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। কাস্টেও বদল এসেছে। তবে মুখ্য দুই অভিনেতা অর্থাৎ অনস্ক্রিন চারু-আর্যর কোনও বদল ঘটেনি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী আর্য এবং চারু মারা যাওয়ার পর গল্প ২৫ বছর এগিয়ে গিয়েছে। একজন গাড়ি মেকানিককে দেখা যাচ্ছে, যাঁর নাম অর্জুন। যাঁকে আর্যর মতোই দেখতে। আবার চারুর মতো দেখতে একটি মেয়ে চিত্রাঙ্গদা। লন্ডনে যাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তিনি কলকাতায় আসেন। ইমপোর্টেড গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় অর্জুনের গ্যারাজে সারাতে যান। রিজওয়ান বলেছিলেন, “সব সময় একটা তু তু ম্যায় ম্যায় ব্যাপার। মেয়েটি সারাক্ষণ লন্ডনের গুণগান গায়। আর ছেলেটি বলে, এতই যখন অসুবিধে তা হলে কলকাতায় এলেন কেন?” এই জায়গা থেকে সাঁঝের বাতি নতুন পৃথিবীর সূচনা হয়েছিল।
View this post on Instagram
গত জুলাইতে দুই বছর পূর্ণ করেছিলে এই ধারাবাহিক। করোনা আতঙ্কের কারণে তখনও সেটে ছোট করে সেলিব্রেট করেন কলাকুশলীরা। করোনার কারণেই বড় সেলিব্রেশন সম্ভব হয়নি বলে খবর। ধারাবাহিকটি চারুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। এক গ্রামের মেয়ে। যে কম বয়সে মাকে হারিয়েছিল। তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। চারুকে গ্রামবাসীরা সকলেই পছন্দ করেন। তবে তার সৎ-মা এবং সৎ-বোন চুমকি চারুর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। গ্রামবাসীরা চারুকে পছন্দ করে বলেই চুমকি আরও রেগে যায়। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, চারুর গ্রামে আসতেন অ্যাওয়ার্ড উইনিং ফটোগ্রাফার আর্য। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। হঠাৎই একদিন গাড়ির ধাক্কা লাগে। তারপর ধীরে ধীরে চারু, আর্যর বিয়ের দিকে এগিয়েছিল গল্প। নতুন রূপে ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই পছন্দ করেছেন দর্শক।
আরও পড়ুন, Shaheer Sheikh: বাবা হলেন ‘পবিত্র রিস্তা ২’এর অভিনেতা শাহির শেখ