Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গ্যারেজে শুটিং, বাস্তব থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেকে তৈরি করছেন রিজওয়ান

Rezwan Rabbani Sheikh: চিত্রনাট্য অনুযায়ী আর্য এবং চারু মারা যাওয়ার পর গল্প ২৫ বছর এগিয়ে গিয়েছে। একজন গাড়ি মেকানিককে দেখা যাচ্ছে, যাঁর নাম অর্জুন।

গ্যারেজে শুটিং, বাস্তব থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেকে তৈরি করছেন রিজওয়ান
রিজওয়ান রব্বানি শেখ। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2021 | 2:58 PM

চারু এবং আর্য মারা গিয়েছে। চমকে উঠলেন? এই চারু এবং আর্যকে আপনি চেনেন। সৌজন্যে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সাঁঝের বাতি’। সেই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য অনুযায়ী মুখ্য দুই চরিত্রের মৃত্যু ঘটেছে। এ বার এক নতুন পৃথিবী। কাস্টেও বেশ কিছু বদল এসেছে বটে। তবে মুখ্য দুই অভিনেতার বদল ঘটেনি। তার মধ্যে অন্যতম রিজওয়ান রব্বানি শেখ। যাঁকে এ বার এক গাড়ি মেকানিকের ভূমিকায় দেখছেন দর্শক। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য রিয়েল লাইফ থেকে সাজেশন নিয়েই নিজেকে তৈরি করেছেন রিজওয়ান।

এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে রিজওয়ান বললেন, “আমাদের একটা গ্যারাজে শুট হচ্ছে। সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ফলো করছি। তাঁরাও অনেক সময় ধরিয়ে দিচ্ছেন। যেমন এ ভাবে হাত মুছো না…। বা ওই ভাবে কোনও একটা জিনিস রাখো…, ইত্যাদি। মেথড অ্যাক্টিং যাকে বলে। ওরাও মজা পাচ্ছেন।”

চিত্রনাট্য অনুযায়ী আর্য এবং চারু মারা যাওয়ার পর গল্প ২৫ বছর এগিয়ে গিয়েছে। একজন গাড়ি মেকানিককে দেখা যাচ্ছে, যাঁর নাম অর্জুন। যাঁকে আর্যর মতোই দেখতে। আবার চারুর মতো দেখতে একটি মেয়ে চিত্রাঙ্গদা। লন্ডনে যাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তিনি কলকাতায় আসেন। ইমপোর্টেড গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় অর্জুনের গ্যারাজে সারাতে যান। রিজওয়ান বললেন, “সব সময় একটা তু তু ম্যায় ম্যায় ব্যাপার। মেয়েটি সারাক্ষণ লন্ডনের গুণগান গায়। আর ছেলেটি বলে, এতই যখন অসুবিধে তা হলে কলকাতায় এলেন কেন?”

গতকাল অর্থাৎ ১ জুলাই ‘সাঁঝের বাতি’র দু’বছর পূর্ণ হল। গতকাল সেট থেকে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রিজওয়ান। তাঁর কথায়, “নতুন টিম, কাস্টিং চেঞ্জ হয়েছে। কাজের চাপও রয়েছে আমাদের। হয়তো পরে সেলিব্রেশন হবে। এখন তো কোভিডের জন্য থমথমে পরিবেশ হয়ে গেল। গতকাল দর্শকের জন্য একটা লাইভ করেছিলাম।”

ধারাবাহিকটি চারুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। এক গ্রামের মেয়ে। যে কম বয়সে মাকে হারিয়েছিল। তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। চারুকে গ্রামবাসীরা সকলেই পছন্দ করেন। তবে তার সৎ-মা এবং সৎ-বোন চুমকি চারুর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। গ্রামবাসীরা চারুকে পছন্দ করে বলেই চুমকি আরও রেগে যায়। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, চারুর গ্রামে আসতেন অ্যাওয়ার্ড উইনিং ফটোগ্রাফার আর্য। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। হঠাৎই একদিন গাড়ির ধাক্কা লাগে। তারপর ধীরে ধীরে চারু, আর্যর বিয়ের দিকে এগিয়েছিল গল্প। নতুন রূপে ধারাবাহিক কোন পথে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন, সরাসরি ভালবাসার কথা বলে ফেললেন নুসরত? কিন্তু…