আজ রবিবার। ক্যালেন্ডার জানান দিচ্ছে আজ সিদ্ধার্থ শুক্লার জন্মদিন। প্রতি বছর এই দিনে সেলিব্রেশন চলত শুক্লা পরিবার জুড়ে। প্রিয় তারকাকে শুভেচ্ছা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়ে ফেলত ফ্যানেরা। আজও সোশ্যাল মিডিয়ায় অগণিত পোস্ট। তবে থাকার মধ্যে নেই মানুষটাই। জীবিত থাকলে আজ ৪০ বছর পূর্ণ করতেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। তা আর হল না। ভক্তদের কান্না, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেদনাভরা পোস্টের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন রিউমারড প্রেমিকা শেহনাজ গিলও। কী লিখেছেন তিনি?
শেহনাজ কিছুই লেখেননি। একটি ছবি পোস্ট করেছেন শুধু। হাসিমুখে সিদ্ধার্থ বসে রয়েছেন। সূর্যরশ্মি ধুয়ে দিচ্ছে তাঁর পিঠ। পিঠের কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে শ্বেতশুভ্র ‘এঞ্জেল উইংস’। শেহনাজ মনে করেন সিদ্ধার্থ রয়েছেন, এঞ্জেল বা পরী হয়ে এভাবেই হাসি মুখে সঙ্গে রয়েছেন তাঁর। শেহনাজ ওই ছবি পোস্ট করতেই ভক্তদের না শুকনো ক্ষত যেন আরও একবার হয়ে উঠেছে দগদগে। মনে পড়ে যাচ্ছে সেই অভিশপ্ত দিনের কথা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গোটা দেশকে কাঁদিয়ে যেদিন না ফেরার দেশের চলে গিয়েছিলেন অভিনেতা।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন সিদ্ধার্থ শুক্লা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল সিদ্ধার্থের খবর শোনা মাত্রই শুট বন্ধ করে হাসপাতালে ছুটে যান শেহনাজ। যদিও পরে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই নাকি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থ। অভিনেতা ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু জন জানান, ১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন সিদ্ধার্থ। শরীর ভাল লাগছিল না তাঁর। তাঁর মা ও শেহনাজ দুজনেই সে সময় বাড়িতেই ছিলেন।
প্রথমে লেবুর জল ও পরে সিদ্ধার্থকে আইসক্রিম খেতে দেন তাঁরা। কিন্তু তা কাজে লাগে না। অস্বস্তি বাড়তে থাকে ক্রমশ। এর পর শেহনাজ ও তাঁর মা তাঁকে আরাম করতে বলেন। কিন্তু ঘুম আসছিল না কিছুতেই। শেহনাজকে পাশে থাকতে বলেন সিড। পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে বলেন। শেহনাজ তাই করতে থাকেন। শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ, সূত্র বলছে তেমনটাই। ঘুমিয়ে পড়েন শেহনাজও। পর দিন সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে শেহনাজ দেখেন ঠিক একই রকম ভাবে ‘ঘুমিয়ে’ আছেন সিদ্ধার্থ। তিনি ডাকতেই বুঝতে পারেন, সিদ্ধার্থ সাড়া দিচ্ছেন না। ভয় পেয়ে পরিবারের বাকিদের ডাকতে ছুটে যান তিনি। ফোন করা হয় পারিবারি ডাক্তারকেও। তিনি এসেই বুঝতে পারেন সিদ্ধার্থ নেই। নিয়ে যাওয়া হয় কুপার হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বিগবস ১৩তে বিজয়ী হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। ওই শো’য়ে সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের গিলের কেমিস্ট্রি ভালবেসেছিল দর্শক। যদিও তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ কথা স্বীকার করেননি তাঁরা। তবুও তাঁদের একসঙ্গে সময় কাটানো, নানা মুহূর্তকে ভালবেসে অনুরাগীরা তাঁদের ভালবেসে নাম দিয়েছিল ‘সিডনাজ’। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, সিডনাজের নাকি বাগদানও হয়েছিল। এ বছরেরই প্ল্যান ছিল বিয়ের। যদিও তা আর পূর্ণ হল না।