মনে হাজার কষ্ট জমিয়ে রেখে ক্যামেরার সামনে হাসি মুখে দাঁড়াতে হয়: শ্রীমা
গৌরব রায় চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পর আপাতত নিজেকে সিঙ্গল বলে দাবি করেন শ্রীমা। সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে গৌরব অসুস্থ হওয়ার পর তাঁর পুরনো ঠিকানা থেকেও পৌঁছেছিল ফোন।
লিড চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি দেখা যাবে ওয়েব সিরিজেও। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চা অব্যাহত। কথা হচ্ছে, অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্যর। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। প্রশ্ন করেছেন, “আমরা সবাই কি হাসতে চাইলে হাসতে পারি ? বা কাঁদতে চাইলে কাঁদতে? ”
শ্রীমার কথা বলেছেন সেই সব মানুষদের হয়ে যাঁদের আপাতদৃষ্টিতে ‘সেলেব’ বলা হয়। সেই সব মানুষদের হয়ে যারা অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। যাঁদের ব্যক্তিগত আর পেশাগত জীবনের ফারাক করতে পারেন না অনেকেই। ট্রোল হতে হয়। রটে নানা কথা। শ্রীম লিখেছেন, “আমরা যারা অভিনয়ের সাথে যুক্ত, মনে হাজার কষ্ট জমিয়ে রেখে, CAMERAর সামনে হাসি মুখে দাঁড়াতে হয়। চোখের জল গুলো লোকোচুরি খেলে, কখনো নিজের অজান্তেই ধপ্পা বলে বেড়িয়ে আসে। action and cut এর মাঝে হারিয়ে যাওয়ামানুষের আওয়াজ কেন আসে?” তিনি কুর্নিশ জানাতে চান সব অভিনেতাদের যাঁদের নামে অভিযোগ ‘আবেগ’ নিয়ে খেলার। তিনি মনে করেন, একজন অভিনেতার কাছে আবেগকে বাগে আনাই কষ্টসাধ্য। তাঁর কথায়, “কুর্নিশ জানাই সব অভিনেতাদের। যারা দুঃখ পেয়েও, কাজ ভালোবেসে হাসি মুখে ,চোখ মুছে কাজ করেন।”
আরও পড়ুন-হাসপাতালে ভর্তি ‘কোকিলাবেন’ রূপল পটেল, কেমন আছেন তিনি?
গৌরব রায় চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পর আপাতত নিজেকে সিঙ্গল বলে দাবি করেন শ্রীমা। সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে গৌরব অসুস্থ হওয়ার পর তাঁর পুরনো ঠিকানা থেকেও পৌঁছেছিল ফোন। যদিও মেলেনি উত্তর। শ্রীমার পোস্টও কি তাই আজ মন খারাপের কথা বলছে? উত্তর লুকিয়ে আছে অভিনেত্রীর মনেই।
View this post on Instagram