Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘এখন বুঝতে পারবে না কোনটা মুখ, কোনটা মুখোশ’, কেন বললেন শ্রীমা?

শ্রীমা জানিয়েছেন, মুখোশ তাঁর ছোটবেলায় খুব পছন্দ ছিল। মেলায় হোক বা বাড়ির সামনে আসা ফেরিওয়ালার থেকে মুখোশ কিনতে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু বড় হওয়ার পর মুখোশের মানে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে তাঁর কাছে।

‘এখন বুঝতে পারবে না কোনটা মুখ, কোনটা মুখোশ’, কেন বললেন শ্রীমা?
শ্রীমা ভট্টাচার্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2021 | 12:33 PM

বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য আপাতত গৃহবন্দি। কিছুদিন আগেই করোনা থেকে সেরে উঠেছেন সপরিবার। লকডাউনে বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। আর এই একান্ত সময়ে বেশ কিছু উপলব্ধি হচ্ছে তাঁর। জীবনের উপলব্ধি। যা কখনও কখনও অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন সোশ্যাল ওয়ালে

শ্রীমা জানিয়েছেন, মুখোশ তাঁর ছোটবেলায় খুব পছন্দ ছিল। মেলায় হোক বা বাড়ির সামনে আসা ফেরিওয়ালার থেকে মুখোশ কিনতে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু বড় হওয়ার পর মুখোশের মানে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে তাঁর কাছে। কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ, সেটা এখন বোঝা যায় না বলে মনে হয়েছে তাঁর। তিনি বুঝেছেন, মিষ্টি কথার মুখোশ পরে যাঁরা আসেন, তাঁদের কোনও না কোনও স্বার্থ থাকে। আর মুখোশ ছাড়া যে মানুষ জীবনে থাকবে, তার থেকেই আসল ভালবাসা পাওয়া যায়।

নিজের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে শ্রীমা লিখেছেন, ‘ছোটোবেলায় মা বাপির সাথে মেলায় গেলে চোখ নিজের অজান্তে চলে যেত রংবেরঙের মুখোশের দিকে । আবার কখনো নিঝুম দুপুরে ফেরিওয়ালা আসতো বাড়ির সামনে বিক্রি করতো হরেক রকমের জিনিস, সাথে মুখোশ ও। শিশু মনে ভাবতাম কত ভালো এই মুখোশ, কত রুপে সাজা যায়। … কখন ভালো লাগা থেকে ভয়ে পরিণত হয়েছে মুখোশ জানি না। মজার কথা হল এখন তুমিও বুঝতে পারবে না কোনটা মুখ- কোনটা মুখোশ। আজ মুখোশের সাথে মিষ্টি কথা বিনামূল্যে আসে। কিন্তু জেনে রেখ বন্ধু, মিষ্টি কথার মুখোশ পরে মানুষ তোমার জীবনে স্বার্থে আসে, মুখোশ ছাড়া খাঁটি মানুষরাই তোমায় আসল ভালোবাসে’।

এক সহ অভিনেতার সঙ্গে শ্রীমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। সে সম্পর্ক এখন আর নেই বলেই খবর। আপাতত শ্রীমা নাকি সিঙ্গল। তাঁর এই উপলব্ধি কি বিশেষ কারুর প্রতি? কাউকে উদ্দেশ্য করে কি এই কথা শেয়ার করলেন? না! সরাসরি এর উত্তর দেননি অভিনেত্রী।

‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ধারাবাহিকে শেষ কাজ করেছেন শ্রীমা। লকডাউনের আগে টেলিভিশনের একটি অফার ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওই চরিত্রের জন্য আমি প্রস্তুত নই বলে মনে হয়েছিল। তাই অফারটা অ্যাকসেপ্ট করিনি। একটা ওয়েবের কথা হয়ে রয়েছে। আউটডোর শুটিং। তাই লকডাউন না মিটলে শুরু হবে না।” এ ছাড়াও টেলিভিশনের জন্য তৈরি অরিজিনাল একটি ছবির অফারও পেয়েছেন শ্রীমা। তবে তার লুক সেট এখনও হয়নি বলেই জানান।

আরও পড়ুন, করোনায় মা পদ্মাবতীকে হারালেন অভিনেত্রী মল্লিকা দুয়া