সদ্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন শ্রুতি দাস ও স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। তবে তাঁদের জুটি যবে থেকে সম্পর্কে এসেছে, তবে থেকেই তাঁদের বয়সের ব্যবধান নিয়ে তর্জা তুঙ্গে। বিয়ের পরও তা যেন পিছু ছাড়ছে না। এবার বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় সকলকে ভালবাসা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দিলেন সপাট জবাব। এক দীর্ঘ পোস্ট করে শ্রুতি লিখলেন, ”এক সপ্তাহ পূর্ণ হলো আমার এক স্বপ্নপূরণের। এখনও শুভেচ্ছাবার্তার বন্যায় ভাসছি আমরা দুজন। সকলকে আলাদা ভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়নি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। গত শনিবার এবং সোমবার দুদিনই শ্যুটিং এর মধ্যেই কাটিয়েছি। শনিবার বুঝতে পারিনি কী করে সব ঠিকমতো মিটবে আর সোমবার ভেবেছি সব কী করে এতো নিখুঁত ভাবে হল।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লিখলেন,”হয়তো এটাই ভগবানের ইচ্ছা ছিল , মা বাবার আর আপনাদের আশীর্বাদ এর জোর ছিল। এই কেকটা গত সোমবার আমাদের রাঙাবউ এর সহকর্মীদের আনানো এবং সকলকে না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও বিন্দুমাত্র রাগ অভিমান পুষে না রেখে এতো আন্তরিক শুভেচ্ছা হয়ত ভালবাসার মানুষরাই দিতে পারেন। আমাদের সকল অনুরাগী,বন্ধুবান্ধব, গুরুজন , আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী দের আমাদের দুজনের তরফ থেকে বুক ভরা ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জানাই। “শুধুমাত্র আমাদের মন থেকে ভালবাসার মানুষজন” প্রার্থনা করবেন যেন আমরা সুখী হই, আর পারলে “চোদ্দ বছরের বড়” ট্যাগ লাইনটা বন্ধ করুন মিডিয়া পার্সনরা। চার বছর ধরে শুনছি তো আসলে এবার আমরা বিরক্ত হচ্ছি আর কি…।”
তাঁর এই পোস্ট দেখা মাত্রই কমেন্ট বক্সে আবেগের ঝড়। এক ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ”তোমাদের দু’জনের এই নতুন যাত্রার জন্য অনেক আশীর্বাদ।আমার জীবনসঙ্গী আমার চেয়ে ১১বছর ৭ মাস বড় এবং ৫বছর প্রেম করে ২০০১-এ বিয়ে আমরা আজ ২২বছর যাবৎ আনন্দের সাথে সংসার করছি আমাদের দুটো ছানা নিয়ে। ছানা দুটোও বেশ বড় হয়ে গেছে। নিন্দুকেরা নিন্দা করবেই নিজেদের “নিন্দুক” তকমাকে সার্থক করার জন্য। তোমরা ভাল থাকো, জমিয়ে জীবনটাকে উপভোগ কর। ছোট্ট এই জীবনটা খুব সুন্দর।”