‘সিরিয়াল তাও আবার বাংলা! কেউ দেখে নাকি’– এ হেন মনোভাবের পরিচয় বিভিন্ন জায়াগায় মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। শুধু ধারাবাহিকই নয়, ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’ স্লোগান উঠলেও, অনেকেই সাফ জানিয়ে দেন, ‘বাংলা ছবি দেখতে ভাল লাগে না”। এবার এ নিয়েই সরব শ্রুতি দাস। কেন এই দ্বিচারিতা? কেন এই হিপোক্রেসি? সম্প্রতি ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তী শেয়ার করেছিলেন তাঁর এক অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানিয়েছিলেন, একবার ফ্লাইটে করে ফেরার সময় দু’জন মেয়ে তাঁর অটোগ্রাফ নেন। তাঁরা প্রবাসী। কিন্তু মুখের উপরেই তাঁরা মিঠুনকে বলেন হিন্দি ছবি তাঁরা দেখেন না। তাঁদের পাল্টা চেপে ধরেন মিঠুনও। বলেন, “তাহলে আমায় চিনলেন কী করে? কোথায় আমায় নাচতে দেখলেন? আপনার বাড়িতে”? এর পরেই সেই দুইজন সেখান থেকে কার্যত পালিয়ে যান। মিঠুনের কথায়, “বাঙালিকে যেমন বলতেই হয় বাংলা ছবি দেখি না। ঠিক তেমনই এক। যেন জাত চলে যাবে।” ওই ভিডিয়োটিই শেয়ার করেছেন শ্রুতি। শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “আমিও শুনি, “দিদি একটা সেল্ফি তুলবেন? আমি যদিও এসব বাংলা সিরিয়াল দেখি না! আমার বাড়িতে মা দেখে ! বাড়ি ফিরে কখনো আপনার সিরিয়াল চললে আপনাকে দেখতে পাই। রিমোট নিয়ে অশান্তি হয়…মা কে ছবিটা দেখালে খুশি হবে।”
এর পরেই শ্রুতির ক্ষোভ, “বাংলা সিরিয়াল দেখি বললেই যেন জাত চলে যাবে”। শ্রুতির সঙ্গে সহমত হয়েছেন অনেকেই। বাংলা ছবি-সিনেমা নিয়ে ছ্যুৎমার্গ যে রয়েছে তথাকথিত সমাজে সে কথা সকলেরই জানা। শুধু কি তাই? সিনেমা ও সিরিয়াল নায়ক-নায়িকাদের মধ্যেও ফারাক লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তবুও সপ্তাহান্তে টিআরপির নম্বরই বুঝিয়ে দেয় ধারাবাহিক কত মানুষের অন্নের জোগান করে। চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে একটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির। সেই কথাই কোথাও গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন শ্রুতি। তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ।