মঞ্চে এবং সিনেমায় তিনি বারবারই প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাঁকে নিয়ে প্রথমবার আলোচনা হয়েছিল অপর্ণা সেন পরিচালিত-অভিনীত বাংলা ছবি ‘পারমিতার একদিন’-এ। ২২ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি। তারপর আরও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ‘ইচ্ছে’, ‘অলীক সুখ’কে। সকলেই স্বীকার করে নেবেন, সোহিনী সেনগুপ্তর পারফরম্যান্স অনবদ্য। সম্প্রতি বাংলা সিরিয়ালেও দাপিয়ে অভিনয় করছেন সোহিনী। তিনি ঘরে-ঘরে জনপ্রিয় হয়েছেন পটুপিসি চরিত্রে অভিনয় করে। সৌজন্যে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক। ২১ অগস্ট ছিল সেই ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার। দিন দুই আগে গুনগুন চরিত্রটির মৃত্যু দর্শককেও দুঃখ দিয়েছে খুব। যদিও শেষ এপিসোডে ‘হ্যাপি এন্ডিং’ রেখেছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। ‘প্রয়াত’ গুনগুনের পুত্রের লাভ ইন্টারেস্ট হয়ে ফিরে এসেছে নতুন গুনগুন। ধারাবাহিক শেষ হওয়ায় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজ-নিজভাবে অভিব্যক্তি শেয়ার করেছেন। TV9 বাংলার কাছে ‘পুটুপিসি’ সম্পর্কে কী বললেন সোহিনী? যে পুটুপিসি হয়ে সহজেই দর্শকের হৃদয়ে প্রবেশ করেছিলেন অভিনেত্রী…
TV9 বাংলাকে সোহিনী সেনগুপ্ত বলেছেন:
“যেদিন শেষ শট দিয়েছিলাম ‘খড়কুটো’য়, প্রচণ্ড কেঁদেছিলাম। সবাইকে খুব মিস করেছিলাম। কিন্তু তারপর আমি ঠিক হয়ে গিয়েছি। তার কারণ এটাই মনে হয়েছে যে, সকলে আছেন। কেউ কোত্থাও যাননি। অনেক টেলিভিশন সিরিয়ালের তো ডকুমেন্টেশনও নেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের কাজটা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রয়েছে। চাইলেই আমরা দেখতে পারব। এখন আমি আগামী কাজের দিকে তাকিয়ে আছি। ‘গুড্ডি’র পাঠটা নিয়ে চিন্তা করছি। লীনাদি আমাকে নিয়ে আর কী ভাবছেন, সেটা নিয়ে ভাবছি। কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে না, সত্যি বলছি। আমার যেহেতু জীবনের প্রথম মেগা সিরিয়াল ‘খড়কুটো’, সেখান অনেক কিছু শিখেছি। সারাজীবনের জন্য অনেক বন্ধু হয়েছে আমার। সবাই কাঁদছিল, সেটাও চোখের সামনে দেখা আমার আছে একটা অভিজ্ঞতা। আমি জানি ওই ফ্লোরটা থাকবে, ওই ইন্ডাস্ট্রিটা থাকবে, আমিও থাকব। পুটুপিসিও থাকবে কোথাও না-কোথাও।”