কোল জুড়ে ছিল সে। কিন্তু গত বছর হঠাৎই মৃত্যু হয় সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের আদরের পোষ্য ভানুভূষণের। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ছিল তার জন্মদিন। প্রতিবার এই দিনে কোলে বসে তাকে কেক খাওয়াতেন সুদীপা। কিন্তু এবার আর হল না। কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে তাঁর। ভানুর ছবি শেয়ার করে সুদীপ্তা লেখেন, “সারাদিন অনেক কাজে, ভুলে থাকার ভাল করেও লাভ হল না কোনও। এই প্রথম বার তোমার জন্মদিনে, আমার কোলে বসে তুমি কেক খেলে না। তোমার মতো কেউ কোনওদিন ছিল না, না হবে। তুমি শ্রেষ্ঠ। সবসময়… শুভ জন্মদিন হ্যান্ডসাম। মা তোমায় সবচেয়ে বেশি ভালবাসে।” এমনিতে চারপেয়ে হলেও সে ছিল সুদীপার চোখের মণী। তাঁকে বরাবর সন্তানের মতোই ভালবেসেছিলেন সুদীপা।
গত বছর জুন মাসে মৃত্যু হয় তার। ডিপ্রেশন গ্রাস করেছিল সুদীপাকে। সুদীপা জানিয়েছিলেন, ভানু যখন জন্মায় তখন তাকে কিছুতেই বাঁচানো যাচ্ছিল না। চিকিৎসক বলে ওর পিঠ ঘষতে। সুদীপা তাই করতেই কাঁদতে শুরু করে সে। আর তারপর থেকেই ভানু তাঁর নিজের ছেলে। সুদীপাৎ গর্ভে যখন আদিদেব হল তখন আদিকেও একেবারেই পছন্দ ছিল না ভানুর। মা শুধু তারই– এমনটাই ছিল দুজনের মিষ্টি সম্পর্ক। সেই ভানুরই জন্মদিনে কোলে নিয়ে আদর করতে পারলেন না তিনি, খাওয়াতে পারলেন না খাবার। এ আক্ষেপ যে ভুলে থাকার নয়। সুদীপার পাশে তাঁর অনুরাগীরাও। ঈশ্বর তাঁকে ভানুর কষ্ট ভুলিয়ে দিক, এমনটাই প্রার্থনা তাঁদের।
প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগেই শেষ হয়েছে সুদীপার কুকিং শো। জার্নিশেষে আবেগঘন হয়ে পড়েন তিনি।বলেন, “কতবার,মনে হয়েছে- আর পারবো না। শেষ হবে রান্নাঘর। কিন্তু,সবাই মিলে আবার নতুন উদ্যমে নেমে পড়েছি কাজে। কিন্তু, সব কিছু ম্লান করে,যখন হঠাৎ,চারদিক কাঁপিয়ে কোভিড এলো- তখন মনে হয়েছিল,আর বোধহয় পারব না। কিন্তু, রান্নাঘর থেমে থাকেনি। মোবাইল ক্যামেরায় ভরসা করে,নতুন নতুন রেসিপির সন্ধান আমরা চালিয়ে গেছি- সেই প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও।” আপাতত নতুন কোনও কাজে হাত দেননি তিনি। ব্যস্ত রয়েছে নিজের ব্যবসা নিয়েই।