ছোট্ট ছোট্ট ফুলকো লুচি। সঙ্গে কড়া করে বেগুন ভাজা আর আলুর তরকারি। মেনুতে এ সব থাকলে ব্রেকফাস্ট জমে যাবে। পুজো আসছে। এখন তো ব্রেকফাস্টে এ সব রাখতেই পারেন, নাকি? ঠিক যেমন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে আদিদেব এনজয় করছে এই রাজকীয় ব্রেকফাস্ট।
সদ্য সোশ্যাল ওয়ালে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সুদীপা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আনন্দ করে পছন্দের খাবার খাচ্ছে আদিদেব। মামারবাড়িতে চলছে ছোট্ট আদির অভ্যর্থনা। ভিডিয়ো তাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
দুর্গাপুজো আসছে। মা আসছেন। করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জেরে গত বছরের মতো এ বছরের পরিস্থিতিও বিশেষ ভাল নয়। তবে তার মধ্যেই নিয়ম নীতি মেনে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ির পুজো। তারই ঠাকুর তৈরির কিছু অংশ ভিডিয়োর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছিলেন তিনি। মহালয়ার দিন পোস্ট করেছিলেন এই ভিডিয়ো। সেখানে রয়েছে সুদীপার একমাত্র পুত্র আদিদেবও। ধীরে ধীরে মৃন্ময়ী মা চিন্ময়ী রূপ নিচ্ছে। জন্ম থেকেই বাড়ির পুজো দেখে অভ্যস্ত আদি। তাই একেবারে অন্য রকম ভাবে পুজোর কয়েকটা দিন আনন্দে কাটে এই স্টার কিডের। এখনই তার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। সেই খুশির মুহূর্ত শেয়ার করে নিয়েছিলেন সুদীপা।
পরিচালক তথা প্রযোজক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সঞ্চালিকা তথা চিত্রনাট্যকার সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো বেশ বিখ্যাত। বহু নামজাদা ব্যক্তিত্ব পুজোর কোনও একটা দিন চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে হাজির হন। গত বছর যদিও ছবিটা আলাদা ছিল। এ বছরও সাধারণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়তো সম্ভব হবে না। রথের দিন এই পারিবারিক পুজোর কাঠামো পুজো হয়। শিল্পীর স্টুডিওতে গিয়ে সেই কাঠামো পুজো সেরে ফেলেছিলেন দম্পতি। সঙ্গে ছিল দম্পতির একমাত্র পুত্র আদিদেব চট্টোপাধ্যায়।
সুদীপার ছেলে আদিদেভ চট্টোপাধ্যায় জন্মের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন। আদিদেভকে পছন্দ করেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের বড় অংশ। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আদিদেভের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি শেয়ার করেন সুদীপাও। বেশ কয়েক মাস আগে ছেলের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘মা হওয়াটা আমার অস্তিত্বের জন্য এখন যথেষ্ট…অভিভাবক হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কিন্তু আপনাকে খুব দ্রুত শিখতে হবে। শিখতে হবে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই।’
সুদীপার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর আদিদেভের জন্ম। ফলে প্রথম সন্তানের জন্য বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন দম্পতি। মা হতে গেলে শরীরে এবং মনে যে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা পুরোদস্তুর নেওয়ার পরই সন্তানের সিদ্ধান্ত নেন সুদীপা। আদিদেভের জন্মের পর ছেলের প্রতিটি কাজ নিজে হাতে করেছেন। দীর্ঘদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছিলেন সুদীপা। আসলে ছেলের বড় হওয়ার কোনও মুহূর্ত মিস করতে চাননি তিনি। অভিভাবকত্বের পাঠ নিয়েছেন সন্তান আগমনের আগে থেকেই। সেই পাঠ নিতেই তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন, Rafiath Rashid Mithila: ‘বলেই যাচ্ছি… টিভি দেখিস না…’, আয়রার জন্য মিথিলার গান…