শীতকাল মানেই পিকনিকের মরসুম। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে জীবন। যদিও করোনা এখনও পুরোপুরি মুক্ত নয়। তবু ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন সকলে। শীতকালের পিকনিকই বা বাদ যাবে কেন? জনপ্রিয় রান্নার শো ‘রান্নাঘর’-এও তাই দর্শকের জন্য নিয়ে আসছে পিকনিক স্পেশ্যাল পর্ব।
‘রান্নাঘর’-এর সাধারণত ঘেরা জায়গায় স্টুডিওর সেটের মধ্যে রান্না হয়। কিন্তু পিকনিক পর্বে খোলা আকাশের নীচে রান্না হবে। থাকবেন বিখ্যাত শেফরা। অতিথিদের সঙ্গে গান, আড্ডা, গল্পে একেবারে জমজমাট পর্বের শুটিং চলছে। সঞ্চালনায় সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে সুদীপা বললেন, “অনেক মজা, গান, আনন্দ যা হয়ে থাকে পিকনিকে, সেটাই আপনারা দেখবেন জি বাংলার রান্নাঘর-এর পিকনিকে। জিলিপি তৈরি, পাঁপড় ভাজা- এক এক দিন এক এক রকম খাবার তৈরি হবে। পিকনিক স্পেশ্যাল সব খাবার। স্মৃতি রোমন্থন তো আছেই। বাড়ির ছাদে বা আবাসনের লনে পিকনিক করলে কেমন রান্নাবান্না করবেন, সে সব খবর দেব আমরা।”
দিন কয়েক আগে ‘রান্নাঘর’-এর পাশাপাশি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ সঞ্চালনার দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন সুদীপা। সহ সঞ্চালক ছিলেন সৌরভ দাস। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ মানেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনা। কিন্তু সম্প্রতি বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। সেই ব্যক্তিগত ক্ষত সামলে ওঠার জন্য কিছুদিনের বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। সেই অবসরে জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন সুদীপা এবং সৌরভ।
ব্যক্তি জীবনে একমাত্র ছেলে আদিদেভকে নিয়ে ব্যস্ত সুদীপা। স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর আদিদেভের জন্ম। ফলে প্রথম সন্তানের জন্য বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন দম্পতি। মা হতে গেলে শরীরে এবং মনে যে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা পুরোদস্তুর নেওয়ার পরই সন্তানের সিদ্ধান্ত নেন সুদীপা। আদিদেভের জন্মের পর ছেলের প্রতিটি কাজ নিজে হাতে করেছেন। দীর্ঘদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছিলেন সুদীপা। আসলে ছেলের বড় হওয়ার কোনও মুহূর্ত মিস করতে চাননি তিনি। অভিভাবকত্বের পাঠ নিয়েছেন সন্তান আগমনের আগে থেকেই। সেই পাঠ নিতেই তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন, Iman Chakraborty: নাথুলা পাসে ইমন চক্রবর্তী, সঙ্গী কারা?