দিল্লির রাজপথে বাংলার তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন। সেখানে হাজির হয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও দিল্লির যন্তর মন্তরে শুরু হয়েছে তৃণমূলের ‘মিশন দিল্লি’র দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচী। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার ধ্বস্তাধস্তিও হয়েছে তৃণমূল সমর্থকদের। অশান্ত সময়ে নানা বিষয়ে যখন প্রতিবাদ কার্যত ‘বিদ্রোহ’-এর আকার নিয়েছে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট-হওয়া ওই তৃণমূল যুবনেতার একটি ছবিকে কেন্দ্র করে নিম্নচাপের ঘোলাটে আকাশেও যেন গুঞ্জন: ‘‘বাতাসে বহিছে প্রেম/নয়নে লাগিল নেশা/কারা যে ডাকিল পিছে/বসন্ত এসে গেছে।’’ স্ত্রীকে আদর করে যুবনেতা যেন বলছেন, “…চুমুর দিব্য, শুধু তোমাকেই চাই’। সৌম্য বক্সী, একদিকে তিনি যেমন যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, অন্য দিকে প্রাক্তন বিধায়ক স্মিতা বক্সীর ছেলেও। কিছু মাস আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সে সময় সুদীপ্তার কাজের চাপ থাকায় হনিমুনে যাওয়া হয়নি তাঁদের। অবশেষে কয়েক মাস কাটতেই সময় বের করে তাঁরা গেলেন ফ্রান্স ট্যুরে। রাতের আকাশ ছুঁয়ে ঝলমলে প্যারিসের বুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে আইফেল টাওয়ার। প্রেমের শহর প্যারিসে যেখানে আইফেল টাওয়ারের ব্যাকড্রপে কাপলের চুম্বনে আবিষ্ট হওয়া একপ্রকার ‘রীতি’, সেখানেই ঠোঁটে-ঠোঁট ছুঁয়েছে তাঁদের। প্রেমের সাগরে ভেসে নেতার মনও আজ নায়িকা-স্ত্রীর প্রেমে মজে।
তবে সৌম্যর ওই ছবি দেখার পরেই সামাজিক মাধ্যমে এসেছে একের পর এক সমালোচনা। অনেকেরই প্রশ্ন, “দল যখন বিক্ষোভে সামিল সেখানে সৌম্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন’? যদিও সৌম্য আর সুদীপ্তার বিচরণ এখন অন্য জগতে। কখনও সুইজারল্যান্ড, কখনও প্যারিস করেই এই মুহূর্তে দিন কাটছে তাঁর। একের পর এক ছবিও শেয়ার করে নিচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বহু দিনের প্রেম তাঁদের। আলাপ হয় এক অনুষ্ঠানে। দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের পর গত মে’মাসে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁর বিয়েতে ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। বেনারসীর সঙ্গে সোনার গয়নায় সেজেছিলেন তিনি। শুধু সাজপোশাকই নয়, খাবারদাবারেও দেখা গিয়েছিল ভরপুর বাঙালিয়ানা। আপাতত মিশন হনিমুন, ফিরে এসে আবারও ‘ব্যাক টু ওয়ার্ক’।