স্নেহা সেনগুপ্ত
২০১৮ সালের কথা। এক শ্যামবর্ণ নারীর জীবনযুদ্ধের কাহিনি নিয়ে বাংলায় মেগা সিরিয়াল তৈরি করেছিল সুশান্ত দাসের প্রযোজনা সংস্থা টেন্ট। সেই ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নবাগতা তিয়াসা লেপচা এবং নীল ভট্টাচার্য। তাতে ছিল বেশকিছু কীর্তনের গানও। যে কারণে অতি অল্পদিনের মধ্য়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিল মেগা। ধারাবাহিকের নাম ‘কৃষ্ণকলি’। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে শেষ এপিসোড সম্প্রচার হয় ধারাবাহিকের। তারপর ধরেই নেওয়া হয়েছিল তিয়াসা ও নীলের জুটিকে আর হয়তো দেখা যাবে না ছোট পর্দায়। কিন্তু না, সকলকে চমকে দিয়ে এই জুটি ফিরেছে নতুন গল্প নিয়ে, নতুন বিষয়-ভাবনাকে পাথেয় করে। নতুন সিরিয়ালের নাম ‘বাংলা মিডিয়াম’।
গ্রামের এক বাংলা মিডিয়ামে পড়া মেয়েকে পাত্রপক্ষ নাকচ করে সে ইংরেজি মাধ্যমে পড়েনি বলে। সে নাকি শহরের এক নামী ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে চাকরি পায়। এই নিয়ে গল্প শুরু হতে চলেছে। গ্রামের সেই বাংলা মিডিয়ামে শিক্ষাপ্রাপ্তের নায়িকার চরিত্রেই তিয়াসা। শহরের স্কুলে আছে নীলের চরিত্রটি।
‘কৃষ্ণকলি’র খোলস ছেড়ে নতুন খোলসে নীল-তিয়াসা। এই জুটি ফের ফিরল ৯ মাস পর। অভিনেতা নীলের সঙ্গে যোগাযোগ করে TV9 বাংলার প্রতিনিধি। জুটি সম্পর্কে নীলের বক্তব্য তুলে ধরলাম আমরা।
TV9 বাংলাকে নীল বলেছেন:
“‘কৃষ্ণকলি’র সঙ্গে একসঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলাম আমি আর তিয়াসা। চার বছর ধরে চলছে সেই ধারাবাহিক। তার উপর আমাদের জুটিটা খুব জনপ্রিয়। টানা তিন বছর সেরা জুটির পুরস্কারও পেয়েছিলাম আমরাই। আমরা একে-অপরের সঙ্গে কাজ করতে ভীষণই কমফর্টেবল। আমাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝামেলা কিছুই নেই। দু’জনেই দু’জনকে সাহায্য করি সব সময়। কীভাবে কাজ ভাল করতে পারি, সেটারও একটা ইচ্ছা আছে আমাদের দু’জনের। আমরা ভেবেছিলাম, কোনওদিনই হয়তো ফের একসঙ্গে কাজ করা হবে না ছোট পর্দার জুটি হিসেবে। সাধারণত, সিরিয়ালে হিরো-হিরোইন রিপিট হয় না, তাও আবার এত কম সময়ের মধ্যে। সকলেই আমাদের আবার বিশ্বাস করেছেন, এটা ভেবে বেশ ভাল লাগছে। আমার আশা আমাদের জুটিটা আবার ছোট পর্দায় জাদু তৈরি করবে। মানুষের আশা করি ভাল লাগবে।”