সিরিয়ালে অভিনয় করতে আসার অনেক আগে থেকেই এই দুই অভিনেতার মধ্যে বন্ধুত্ব জমে ওঠে দারুণভাবে। রনি চক্রবর্তী এবং রাজদীপ গুপ্ত। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন দু’জনে। সঙ্গে দোসর ছিলেন অভিনেতা দ্বৈপায়ন দাস। তিনিও ছিলেন রবি ওঝার সেই সিরিয়ালে। ২০১১ সালে দ্বৈপায়নই তাঁদের তিনজনের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। টালিগঞ্জের ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে তোলা হয়েছিল সেই ছবি। একটি কাঠের বেঞ্চির উপর বসেছিলেন তিন অভিনেতা। খোশ গল্প করছিলেন। চারপাশে চলছিল হইহট্টগোল। সেই ছবিটি ফেসবুকের টাইমলাইন মেমরিতে ঘুরে এসেছে রাজদীপের। পুরনো পোস্ট ফের মনে করিয়ে দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে। রাজদীপের উদ্দেশে দ্বৈপায়ন লিখেছিলেন, “মনে পড়ে সেই দিন রাজদীপ?”
২০১৫ সালের ১৫ মে সন্তোষপুরের একটি পুকুর থেকে মিলেছিল অভিনেতা রনি চক্রবর্তীর মৃতদেহ। তিনি নাকি সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন সেই পুকুরে। প্রায়ই নাকি যেতেন। সাঁতার কাটতেন সন্ধ্যার দিকেই। ভাল সাঁতারু হিসেবে সুনামও ছিল সেই তল্লাটে। অনুমান ছিল, রনি নাকি সেদিন মদ্যপ অবস্থায় সাঁতার কেটেছিলেন পুকুরটিতে। কিন্তু ময়নাতদন্তে তাঁর পাকস্থলীতে মেলেনি মদের একফোঁটা চিহ্নও। পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিনেতার খুনের অভিযোগ দায়ের করাও হয়েছিল সেই সময়। কিন্তু সত্য়ি ঘটনার কিনারা হয়নি আজও। হার্ট অ্যাটাক নাকি খুন, এই রহস্য মৃত্যু নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।
তবে রনিকে আজও ভুলতে পারেননি রাজদীপের মতো তাঁর কিছু বন্ধু। এখনও সময়ে-অসময়ে রনিকে ঘিরে করা পুরনো পোস্টগুলি টাইমটাইনের স্মৃতিতে ভেসে উঠলে তা শেয়ার করেন রাজদীপ।
প্রায় একই সঙ্গে অভিনয়ে কেরিয়ার শুরু রাজদীপ-রনির। রনির স্ত্রী এবং রাজদীপ থাকতেন একই পাড়ায়। সেই থেকে তাঁদের বন্ধুত্ব। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’তে কাজ করার সময় দিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হত তাঁদের। ফলে বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। রাজদীপের বাবা রনিকে দেখতেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র হিসেবে। আরও একটি কাকতালীয় মিল ছিল দু’জনের মধ্যে। রাজদীপ এবং রনির ছেলের একই দিনে ছিল জন্মদিন।