Tithi Basu: ‘বাবা ছেড়ে চলে গেছে, কিস্যু হবে না ওর…’, শৈশবের যন্ত্রণা নিয়ে সরব তিথি

Tithi Basu: নাম তিথি বসু, তবে আপামর জনসাধারণ তাঁকে চেনে 'মা' ধারাবাহিকের ঝিলিক হিসেবেই। ধারাবাহিকের ছোট্ট ঝিলিক আর ছোট নেই। সে এখন প্রাপ্তবয়স্ক।

Tithi Basu: 'বাবা ছেড়ে চলে গেছে, কিস্যু হবে না ওর...', শৈশবের যন্ত্রণা নিয়ে সরব তিথি
শৈশবের যন্ত্রণা নিয়ে সরব তিথি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 10:56 AM

নাম তিথি বসু, তবে আপামর জনসাধারণ তাঁকে চেনে ‘মা’ ধারাবাহিকের ঝিলিক হিসেবেই। ধারাবাহিকের ছোট্ট ঝিলিক আর ছোট নেই। সে এখন প্রাপ্তবয়স্ক। বাংলা ধারাবাহিকের ইতিহাসে মাইলফলক তৈরি করা ওই ধারাবাহিকের নায়িকার ছোটবেলাটা যে কেটেছে এমন যন্ত্রণার মধ্যে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি। এক ওয়েব প্ল্যাটফর্ম (যোশ টক)-এ হাজির হয়ে নিজের জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের কথা শেয়ার করেছেন তিথি। জানিয়েছেন, ক্লাস ১০-এ হঠাৎ করেই বাবা পরিবারের থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কীভাবে দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জীবন। কীভাবে লোকের কাছে প্রতি মুহূর্তে শুনতে হয়েছে টিটকিরি, আর কীভাবে মজার পাত্রী হয়ে থাকতে হয়েছে সবার কাছে। তিথির কথায়, “আমার তখন ১৫। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেব। সেই সময় বাবা চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কী গেছে আমি জানি। পুরো সংসারটা আমার কাঁধে। ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে কী রান্না হবে… এ সব কিছুই মাথায় রাখতে হত। যেটুকু সঞ্চয় ছিল ওই ১৫ বছর বয়সে একার হাতে নিজের হাতে নিজেই গড়ে তুলেছি। নিজের মা’কে সামলেছি। নুন-ভাত খেয়ে স্কুলে গিয়েছি এমন দিনও গিয়েছে।”

এভাবেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেন তিনি। কিন্তু ক্লাসের আর পাঁচজনের মতো তাঁর বাবা-মা তাঁকে পরীক্ষা হল থেকে আনতে যায়নি তখন। একবুক কষ্ট নিয়েই ভর্তি হল একাদশে। আর দ্বাদশ শ্রেণীতে ভাল ফল করে তাক লাগিয়ে দেন সকলকেই। তবে বাবা চলে যাওয়ায়, সে সময় হেয় হয়েছেন সমাজে। পোহাতে হয়েছে নানা ঝক্কি। তিনি যোগ করেন, “সবাই বলত, আরে এর তো বাবা নেই, চলে গেছে। হাসির খোরাক হয়ে গিয়েছিলাম।”

তবে সে সব দিন পেরিয়ে এসেছেন তিথি। আজ তিনি অনেক শক্ত। বাবাও ফিরে এসেছেন। কিন্তু জীবনের কোনও কষ্টই আর টলাতে পারে না তাঁকে। কিছু দিন আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। তবে সে সব কাটিয়ে ভাল কাজের অপেক্ষায় তিথি, অতীকে সঙ্গে নিয়ে গড়তে চান ভবিষ্যতের মসৃণ জীবন।