জিনস, জ্যাকেট। সঙ্গে খোলা চুলের সাজ। কখনও অফ শোল্ডার ড্রেস। কখনও বা স্লিভলেস লং গাউন। এই কোনও লুকের সঙ্গেই দর্শক ‘শ্যামা’র মিল পাবেন না। ‘শ্যামা’ অর্থাৎ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’র মুখ্য অভিনেত্রী তিয়াশা রায়। টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে একভাবে দেখেন দর্শক। কিন্তু অভিনেত্রীর সোশ্যাল পেজে চোখ রাখলে অন্য রূপ চোখে পড়বে।
হঠাৎ করেই মেকওভার। এই লুক চেঞ্জ কি সচেতন ভাবেই করলেন অভিনেত্রী? TV9 বাংলাকে এ প্রশ্নের উত্তরে তিয়াশা বললেন, “অভিনেতারা এক জায়গায় বাধা থাকতে পারে না। লুক চেঞ্জ সে কারণেই করা। শ্যামার লুক ক্যারি করতে হত বলে এই ছবিগুলো এতদিন পোস্ট করতাম না। সবাই ভালবাসেন আমাকে। সেই ভালবাসায় আঘাত আনতে চাইনি। এখন তিন বছর হয়ে গিয়েছে। একটু চেঞ্জ করতে ইচ্ছে করল।”
ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ‘কৃষ্ণকলি’ নাকি শেষের পথে। সে কারণেই ‘শ্যামা’র লুক থেকে সচেতন ভাবে বেরিয়ে আসার প্রয়োজন হয়েছে তিয়াশার। সোশ্যাল পোস্ট তারই ইঙ্গিত। যদিও তিয়াশার দাবি, “কৃষ্ণকলি শেষ হবে, এখনও তেমন কোনও খবর নেই। তবে এই ধারাবাহিকের পর আমি অবশ্যই একেবারে আলাদা কিছু করতে চাইব।”
তিন বছর আগে ১৮ জুন প্রথম টেলিকাস্ট হয়েছিল ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। শ্যামা হিসেবে অভিনেত্রী তিয়াসা রায়ের সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ। প্রথম ধারাবাহিকেই দর্শকের পছন্দের হয়ে উঠেছেন তিনি। ১০০০ এপিসোড পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেই সেলিব্রেশনে তিয়াষা বলেছিলেন, “প্রথম যেদিন এক নম্বর এপিসোডের শুটিং করেছিলাম, জানতাম না একের পাশে একদিন আরও তিনটে শূন্য আসবে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এক এর পাশে তিনটে শূন্য নিয়ে আসার জন্য। ক্যামেররা পিছনেও অনেকে রয়েছেন, সকলের পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। এই ‘কৃষ্ণকলি’তে এসেই আমি একটা মেয়ে, ছেলে, জামাই পেয়েছি। নাতি নাতনির মুখও যেন দেখে যেতে পারি।”
ক্যামেরার সামনে যেমন একটা গোটা পরিবার দেখেন দর্শক, অফ ক্যামেরাও পরিবারের মতোই সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে কলাকুশলীদের। এতগুলো দিন একটা প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। ফলে ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও সকলের সঙ্গে সেই বন্ধুত্বটা বজায় রাখতে চান তিয়াশা।
আরও পড়ুন, টেলিভিশনের পাশাপাশি সিনেমা, রাজর্ষি দে-র ‘মায়া’তে অভিনয় করছেন সুদীপ্তা