সমুদ্রের পাড়ে একা তিনি। সঙ্গে কেউ নেই। পরনে মেরুন রঙা ড্রেস। সমুদ্রের সঙ্গে যেন একাকী কথোপকথন। তিনি অর্থাৎ অভিনেত্রী তিয়াশা রায়। বাংলা টেলিভিশনের দর্শক গত তিন বছর ধরে যাঁকে দেখছেন কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে। জীবনের প্রথম ধারাবাহিকেই শ্যামা চরিত্রের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিয়াশা। এ বার সমুদ্রের পাড়ে একার এমন ছবিই পোস্ট করলেন তিনি।
ছবির ক্যাপশনে তিয়াশা লিখেছেন, ‘তুমি যেখানেই যাও, নিজের সূর্যকিরণ নিজেকেই আনতে হবে।’ এ কী তাঁর একাকীত্বের প্রকাশ? আসলে ব্যক্তি জীবনে তিয়াশা অভিনেতা সুবান রায়ের স্ত্রী। কিন্তু তিয়াশা এবং সুবানের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা চলছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেই। তাঁদের সম্পর্ক আর আগের মতো সরলরেখায় চলছে না বলেই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্ডাস্ট্রির কিছু সদস্য। তিয়াশার এই পোস্ট কি সেই একাকীত্বেরই ইঙ্গিত? না! প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা।
দিন কয়েক আগে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে মন্দারমণি গিয়েছিলেন তিয়াশা। সঙ্গে সুবান নয়, বন্ধুরা ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। এই ছবি সেখানেই তোলা হয়েছে কি না, তা জানাননি তিনি। এমনকি ছবি কে তুলে দিয়েছেন, তারও কোনও উল্লেখ নেই।
জন্মদিনের আগেই বড় করে জন্মদিনের সেলিব্রেশন হয়েছে তিয়াশার। সৌজন্যে তাঁর অনুরাগীরা। কেক, উপহার, সেলফি কোনও আনন্দই বাদ পড়েনি। অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করেন তিয়াশা। জন্মদিনের আগেই তাঁকে উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ইনস্টাগ্রাম লাইভে উপহার খুলে সকলকে দেখান তিনি। অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করা, সেলিব্রেশন উপলক্ষ্যেই প্রথমবার ইনস্টাগ্রাম লাইভও করেন তিনি। এ যেন এক অন্য মানুষ। আগে এ ভাবে অনুরাগীদের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে তিয়াশাকে দেখা যায়নি।
একই সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই লুক বদলে ফেলেছেন তিয়াশা। এই লুক চেঞ্জ কি সচেতন ভাবেই করলেন অভিনেত্রী? TV9 বাংলাকে এ প্রশ্নের উত্তরে আগেই তিয়াশা বলেন, “অভিনেতারা এক জায়গায় বাধা থাকতে পারে না। লুক চেঞ্জ সে কারণেই করা। শ্যামার লুক ক্যারি করতে হত বলে এই ছবিগুলো এতদিন পোস্ট করতাম না। সবাই ভালবাসেন আমাকে। সেই ভালবাসায় আঘাত আনতে চাইনি। এখন তিন বছর হয়ে গিয়েছে। একটু চেঞ্জ করতে ইচ্ছে করল।”
তিন বছর আগে ১৮ জুন প্রথম টেলিকাস্ট হয়েছিল ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। শ্যামা হিসেবে অভিনেত্রী তিয়াসা রায়ের সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ। প্রথম ধারাবাহিকেই দর্শকের পছন্দের হয়ে উঠেছেন তিনি। ১০০০ এপিসোড পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেই সেলিব্রেশনে তিয়াষা বলেছিলেন, “প্রথম যেদিন এক নম্বর এপিসোডের শুটিং করেছিলাম, জানতাম না একের পাশে একদিন আরও তিনটে শূন্য আসবে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এক এর পাশে তিনটে শূন্য নিয়ে আসার জন্য। ক্যামেররা পিছনেও অনেকে রয়েছেন, সকলের পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। এই ‘কৃষ্ণকলি’তে এসেই আমি একটা মেয়ে, ছেলে, জামাই পেয়েছি। নাতি নাতনির মুখও যেন দেখে যেতে পারি।”
আরও পড়ুন, মা হলেন কিশওয়ার, ৪০ বছরেও মাতৃত্ব নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী