টলিউডের অভিনেত্রী পায়েল সরকার (Payel Sarkar)। বরাবরই তিনি খোলামনে কথা বলতেই বেশি পছন্দ করেন। যে কোনও বিষয় তিনি উত্তর দিতে তৈরি। ফলে তাঁর সঙ্গে আড্ডার আসর মানেই একগুচ্ছ গল্প। তাঁর অভিনয় থেকে শুরু করে বোল্ড লুকের ভক্ত নেহাতই কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ সক্রিয় অভিনেত্রী। একের পর এক ছবি পোস্ট করা মাত্রই তা দর্শকদের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়। পায়েল সরকার ঠিক যেমন সোশ্যাল দুনিয়ায় রঙিন, ততটাই তিনি ক্যান্ডিট তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও। একবার খোদ অভিনেত্রী দিদি নং ওয়ান-এর মঞ্চে এসে রহস্য ফাঁস করে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির মজার মজার কাহিনি। মা-বাবাকে নিয়ে দিব্য রয়েছেন তিনি। তবে তাঁরা দুজনও বেশ মজার মানুষ।
জি বাংলার এই রিয়ালিটি শো-এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোলা মনে সবটাই উজার করে দিলেন তিনি। বিশেষ করে লকডাউনের সময় যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে, তা এক কথায় অবাক করে সকলকেই। তাঁরা ফ্ল্যাটের দুটি ফ্লোরে মা-বাবা আলাদাই থাকেন। না, কোনও বচসার কারণে নয়। যে যার মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করেন বলেই এই ভাগাভাগি। যার জেরে বাড়িতে পায়েল কোথায় থাকবেন বুঝে উঠতে পারেন না।
এখানেই শেষ নয়, লকডাউনে যখন মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাচ্ছেন না, ঠিক তখনই পায়েলের বাবার বিস্তর দাবি। নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট ছাড়া তিনি জিনিস নেবেন না। ফলে সারাক্ষণ পায়েলকে অনলাইনে তা খুঁজে খুঁজে বার করতে হতো। আবার কেনার পর রীতিমত দাম নিয়ে ক্লাসও চলত তাঁর।
কোন জিনিস তিনি কত টাকা বেশি দিয়ে কিনেছেন, এবং কেন কিনেছেন, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করতেন তাঁর বাবা। যদিও লকডাউনের পর সেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী। পরবর্তীতে তাঁর বাড়ির ড্রাইভার চলে আসায় এই ভার চলে যায় তাঁর কাঁধেই। আর পায়েলকে শুনতে হয়, তিনি নাকি বাজার করতেই পারেন না। পায়েলের মুখে এই মজার গল্প শুনে সেটে উপস্থিত সকলেই হাসি চাপতে পারেন না।