উর্মি সরকার। এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকের কেন্দ্রে যা থাকা চরিত্র। অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা বরাবরই ভীষণ খোলামেলা কথা বলতেই পছন্দ করেন। অভিনয়ও করেন বেশ মন খুলেই। সেই কারণেই অধিকাংশ দর্শকদের পছন্দ তাঁকে। বারে বারে অন্বেষাও সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। পথে ঘাটে চরিত্রের নামেই এখন তিনি পরিচিত। পর্দার সামনে থাকা দুরন্ত উর্মি বাস্তবের ঠিক কেমন? অন্বেষা হাজরা তাঁর বাবাকে নিয়ে একবার উপস্থিত হয়েছিলেন জি বাংলার রিয়্যালিটি শো দিদি নম্বর ১-এ। সেখানেই শো-এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন অন্বেষার বাবা। জানান, মেয়েকে ওপর থেকে দেখা বোঝা যায় না। তবে অন্বেষা বেশ একগুঁয়ে। তাঁকে যত্ন করে যুক্তি দিয়ে কোনও কিছু না বোঝালে সে চট করে তা বুঝতে চায় না। উল্টো দিকে বাবাকে নিয়েও অভিযোগ করতে পিছপা হন না অন্বেষা।
অভিনেত্রীর কথায়, বাবা কখনই তাঁকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যায় না। যদি মিটিং থাকে তবে তাঁকে সেখানে নিয়ে যান সঙ্গে করে। মিটিংটা কি ঘোরার জায়গা? প্রশ্ন করেন অন্বেষা হাজরা। তাঁর কথায়, বাবাকে ঘোরার কথা বললেই তিনি বলেন, ছাদ থেকে ঘুরে আসতে। চেনা জায়গাতে ঘোরাটাই ভাল, এটাই যুক্তি অভিজিৎবাবুর। বাবার সঙ্গে এখন আর সেভাবে দেখা হয় না অভিনেত্রীর। কাজের সূত্রে এখন অন্বেষা কলকাতাতেই থাকে।
ছোট থেকে তাঁর কোনও সিদ্ধান্তেই বাধা দেননি অভিজিৎ হাজরা। মেয়েকে বরাবরই বলে এসেছেন তিনি ভুল করার অধিকার আছে তাঁর। ভুল করতে তিনি তা সামলেও নেবেন। তবে মানা করার পরও যদি একই ভুল করে অন্বেষা তখন তিনি পাশ থেকে সরে দাঁড়ান। এখানেই শেষ নয়, অন্বেষার কথায়, তাঁর বাবা তাঁর ভীষণ ভাল বন্ধুও বটে। যে কথা সে মাকে বলে উঠতে পারে না, বাবাকে বলে দেন খুব সহজেই।