উষসী চক্রবর্তী, সকলের প্রিয় জুন আন্টি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয়। একের পর এক পোস্ট তাঁর ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে দেখা যায় নেটদুনিয়ার পাতায়। তাই বলে স্নানের ভিডিয়ো? বন্ধু করে দিচ্ছেন স্নান। কুয়োর ধারে বসে তা ভিডিয়ো করালেন অভিনেত্রী। শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানালেন, এটি শান্তিনিকেতনের ভিডিয়ো। কলকাতার বুকে এই সুখ কোথায়। কুয়োতে স্নানের অভিজ্ঞতা কলকাতার মানুষের খুব কমই আছে। তবে তাঁর যুক্তি যাই হোক না কেন, বিষয়টা মোটেও ভাল চোখে দেখলেন না নেটিজেনরা। তীব্রভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হল। একের পর এক কটুকথা তাঁকে কেন্দ্র করে কমেন্ট বক্সে জায়গা করে নিল।
যদিও জুন আন্টি, অর্থাৎ উষসী চক্রবর্তী, বরাবরই তিনি স্পষ্ট কথা বলতে বিন্দুমাত্র পিছপা হন না। মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজ়েনদের সপাট দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কখনও প্রসঙ্গ মহিলাদের অবমাননা, কখনও আবার প্রসঙ্গ অভিনয়, টলিপাড়ার অন্দরমহল। এবার তাঁর নিশানায় কিছু অসুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিরা, যাঁরা মহিলাদের শরীর দেখা মাত্রই যৌনাকাঙ্খা প্রকাশ করে থাকেন। এমন কি তাঁদের এই বোধটুকুও থাকে না, কোনটা বলা যায় আর কোনটা বলা যায় না। যোগার একটি পোজ় দিয়ে তাঁদের উদ্দেশেই এক কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
লিখেছিলেন, ‘আমার ফেক্সিবেল বডি দেখে যদি কোনও পুরুষের মধ্য যৌনাকাঙ্খা জাগবে, যাঁরা মানসিকভাবে সুস্থ নন, থাকে তাতে আমার আপত্তি নেই। এই ধরনের মানুষেরা এমনই পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, যেখানে মহিলাদের অবমাননা করা হয়। তাঁদের কাছে এই বিষয়টা ভীষণ স্বাভাবিক। আমার সত্যি এসে কিছু অসে যায় না, যদি আমায় দেখে কারও এই ধরনের বাসনা জাগে। কিন্তু যেভাবে তাঁরা এই বিষয়টাকে জাহির করে সেটা প্রমাণ দেয় তাদের না আছে শিক্ষা না আছে ক্লাস, এমনকি সাধারণ মূল্যবোধটুকু গড়ে ওঠেনি। পাবলিক ফোরামে কোনটা লেখা যায় সেইটুকু জ্ঞান তাঁদের নেই। আসলে দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা ভালোভাবেই জানে, কিছু ভুঁড়িওয়ালা-আনফিট শরীর ও মন নিয়ে নিজেদের মনের ইচ্ছা আর ফ্যান্টাসি কোনওটাই তাঁরা পূরণ করতে পারবে না’।