সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘কেউ কথা রাখেনি’র দিন আজ। বিশ্ব প্রতিশ্রুতি দিবস (ওয়ার্ল্ড প্রমিস ডে)! (কথা দেওয়াই হয় ভাঙার জন্য!)… ফলে বিশ্ব প্রমিস দিবস বলতেই শোনা যায় ‘প্রমিসের আর মেন্ট টুবি ব্রোকেন’…! এবিষয়ে TV9 বাংলাকে কী বললেন ছোট পর্দার অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত? এই মুহূর্তে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে ডাক্তারবাবুর চরিত্রে অভিনয় করছেন দিব্যজ্যোতি। তার আগে ‘দেশের মাটি’, ‘চুনিপান্না’, ‘জয়ী’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন।
TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আমি একটু গোড়া থেকেই বলি। এই যে দিনগুলো তৈরি হয়েছে – প্রমিস ডে, টেডি ডে, রোজ় ডে, ভ্যালেন্টাইনস ডে… কিংবা মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে… এই দিনগুলি কিন্তু প্রত্যেকদিনের। তা হলে কেন এই দিনগুলো আলাদা করে সেলিব্রেট করা হয়? কারণ আমরা যেন ভুলে না যাই কখনও। এই দিনগুলো আসলে রিমাইন্ডার। প্রমিস ডে-কে সেরকমই একটি দিন মনে করি আমি।”
কথা দেওয়া ও তা ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি একেক ব্যক্তির কাছে একেকরকম। দিব্যজ্যোতি বলেছেন, “মানুষে মানুষে ফারাকের মতো বিষয়টি। কেউ কথা রাখে, কেউ রাখে না। আমরা কিন্তু কেউই আসলে প্রমিস রাখি না। রাখার চেষ্টা করি কেবল। আমিও প্রমিস ভেঙেছি। তারপর দারুণ বিবেকদংশন হয়েছে। নিজেকে দেওয়া কথা নিজে ভেঙে দিতে আমি সবচেয়ে বেশি গিল্ট ফিল করি। এছাড়া মানুষকে কথা দিলে আমি কথা রাখি। কেবল নিজেকে ছাড়া। অনেক সময় সেই সব প্রমিসগুলো ভেঙেছি।”
অভিনেতা জিম ও ডায়েট নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। সুঠাম চেহারা তৈরি করার জন্য দিনরাত মেহনত করেন জিমে। বলেছেন, “আমার খুব গিল্ট ফিল হয়। মাসে আমার ২৫-২৬ দিন জিমে যাওয়ার কথা। নিজেও চার্ট তৈরি করে রাখি। মানুষ আদর করে আমাকে খাওয়াতে চান। আমি কিন্তু তাঁদের না করে দিই। কিন্তু কখনও হয়তো কারও থেকে একটু মিষ্টি ভেঙে খেয়ে নিলাম। সেটা যদি বেশি মাত্রায় হয়ে যায়, আমার বিবেকদংশন শুরু হয়ে যায়। জানি যদি চারদিনও ডায়েট না করি, আমার কিছু হবে না। কিন্তু এটা একটা রোগ।”
আরও পড়ুন: Rupali Ganguly: ‘ভেতরের বাঙালি জেগে ওঠে’, কাঁচাবাদাম শুনেই নাচ বলিপাড়ার ‘শ্রীময়ী’র
আরও পড়ুন: Yami Gautam: ‘ওর সঙ্গে থাকতে ভয় লাগছে’, ইয়ামির এই রূপ দেখে হতবাক স্বামীও!