সিনিয়র বাঙালি অভিনেতা সচ্যসাচী চক্রবর্তী এই মুহূর্তে লাইমলাইটে। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, অভিনয় থেকে চিরতরেই বিদায় নিচ্ছেন। তাই নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। অনেকেই ভাবতে পারছেন না বিষয়টি। সব্যসাচীকে টলি ইন্ডাস্ট্রি ‘বেণুদা’ মানেই ডাকে ভালবেসে। সেই আদরের বেণুদা আর কোনওদিনও লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশনে অংশগ্রহণ করবেন না, এ যেন অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য বিষয় নয়। অভিনেতার বাড়ির লোক কী বলছেন এই বিষয়, জানতে TV9 বাংলা যোগাযোগ করে তাঁর বড় ছেলে গৌরব চক্রবর্তীর সঙ্গে।
TV9 বাংলাকে গৌরব চক্রবর্তী বলেছেন, “আমি বিষয়টা দেখলাম। কিন্তু সত্যি বলতে কী, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বাবার সঙ্গে দেখা হলেই কেবলমাত্র বলতে পারব বিষয়টি কী হয়েছে। আমি বাইরে আছি আর বাবা ঢাকায়। আমরা নিজেরাই জানি না বাবা কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।”
অভিনয় ছেড়ে অবসর জীবন কাটাতে চান সব্যসাচী। তিনি পর্দার ফেলুদা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর মানুষ যে ফেলুদাকে সবচেয়ে বেশি আপন করে নিয়েছিলেন, তিনি হলেন সব্যসাচী। কেবল ফেলুদা নয়, ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিকে গোরার চরিত্রে অভিনয় করে চরিত্রটিকে কাল্টে পরিণত করেছেন সব্যসাচী। বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাঁকে শেষবার দেখা যায় তামান্না ভাটিয়া অভিনীত ‘বাবলি বাউন্সার’ ছবিতে। বাংলাদেশের ছবি ‘জেকে ১৯৭১’-এ অভিনয় করেছিলেন। এবং সেই ছবির জন্যই ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন। তখনই এমন কথা বলেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি ওয়াইল্ড লাইফের প্রতি বিরাট আগ্রহ সব্যসাচীর। অবসরের পর তাতে আরও বেশি মন দেবেন বলে স্থির করেছেন অভিনেতা।