কেটে গিয়েছে ৬ দিন। আজ সোমবার। গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) হঠাৎই হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাঙালি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। তাঁর স্ট্রোক হয়েছে। এখন আর ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেই অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সঙ্কটজনক হলেও অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। অ্যান্টিবায়োটিকে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। শরীরের অসাড়ভাব কাটছে ধীরে-ধীরে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। অর্থাৎ, ফের জ্বর আসেনি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছে না ঐন্দ্রিলার। আগের চেয়ে অচৈতন্যভাব কিছুটা হলেও কমেছে। তুলনায় খানিক পাতলা হয়েছে তাঁর ঘুম। স্নায়ু সক্রিয় রয়েছে। আরও একটি ভাল খবর, সংক্রমণের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমেছে। চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে আছেন অভিনেত্রী।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ভালই প্রাণচ্ছ্বল-হাসিখুশি ছিলেন ঐন্দ্রিলা। রান্নাঘরে রাঁধুনির সঙ্গে হাসি-মস্করা করছিলেন। রাঁধুনির চোখের সামনেই ১৫ মিনিটের মধ্যে অসুস্থ হয়ে প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁকে তড়িঘড়ি হাওড়ার এই হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী এবং পরিবারের লোকজন। হাতপাতালে এসে ঘনঘন বমি করছিলেন ঐন্দ্রিলা। হারিয়ে ফেলেন জ্ঞান। তখন থেকেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। একটি সূত্র জানায়, অভিনেত্রী কোমায় চলে গিয়েছেন।
ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা সেই থেকে সঙ্কটজনক। মাঝে গত শুক্রবার হাত নেড়েছিলেন। চোখ খুলেছিলেন। শনিবার ফের অবনতি হয়। তবে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব্যসাচী শুক্রবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় নীরবতা ভেঙে লেখেন, “তিনি ঐন্দ্রিলাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন, তিনিই ফেরত নিয়ে যাবেন।” ঐন্দ্রিলার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন প্রত্যেকে।