রাজীব সেন ও চারু আসোপা– বিয়ে করেছেন বেশ কিছু বছর আগে। রয়েছে এক সন্তানও। তবে তাঁদের বিয়ে এখন নেটিজেনদের কাছে ‘হাসির খোরাক’ ছাড়া কিছুই নয়। কেউ বলছেন ‘মিথ্যেবাদী’, আবার কেউ বা তকমা দিয়েছেন ‘অ্যাটেনশন সিকার’ অর্থাৎ প্রচারের আলোতে আসার জন্য নাকি বিয়ে নিয়ে ছেলেখেলা করছেন দু’জনেই– অভিযোগ এমনটাই। কেন? কিছু মাস আগের ঘটনা। চারু জানিয়ে দেন রাজীবের সঙ্গে তাঁর পক্ষে সংসার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। কারণ হিসেবে, একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে আনেন তিনি। স্বামীর নামে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো এমন সব সাংসারিক ফাঁস করেন যে রাজীব রাতারাতি হয়ে যান ভিলেন। রাজীবও ছেড়ে কথা বলেন না। স্ত্রীর চরিত্রের দিকেও আঙুল তোলেন তিনি। চারুর প্রথম বিয়ে নিয়েও করে বসেন বেফাঁস বক্তব্য। সব মিলিয়ে ঘরের কথা আর গোপন থাকে না। যদিও কিছু দিন পরেই দুজনেই জানান আবারও এক হচ্ছেন তাঁর। দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়, এরও আবার বেশ কিছু দিন পর চারু জানিয়ে দেন তিনি আর পারছেন না। গায়ে হাত তোলার অভিযোগও আনেন। জানেন মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকছেন তিনি। আর ফিরে যেতে চান না রাজীবের সংসারে। কিন্তু এ কী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার ছিল চারু আসোপার জন্মদিন। জন্মদিনে স্ত্রীর জন্য রাজীব করলেন ভালবাসাময় পোস্ট। আর ওদিকে চারুও জানালেন শুধু পোস্টই নয় একসঙ্গেই জন্মদিন পালন করেছেন তাঁরা। স্বামীর জন্য লিখলেন, “আমার জন্মদিন এত সুন্দর করে তোলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।” আর এতেই বেজায় চটেছে নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। চারুর ওই পোস্টে কমেন্ট এসেছে, “কী চান টা কী আপনারা। বিয়ে একটা সুন্দর যুগলবন্দি। আর তা নিয়ে আপনারা যা করছেন তা তো রীতিমতো ছেলেখেলা।” অনেকেই আবার চারুকে আখ্যা দিয়েছেন ‘গোল্ডডিগার’ হিসেবেও। তাঁদের মতে সুস্মিতা সেনের ভাই হওয়ার কারণেই নাকি রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেও করছেন না চারু।
গত নভেম্বরের ঘটনা। চারু অভিযোগ করেন, রাজীব নাকি তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন, অকারণে সন্দেহ করেছেন, এমনকি চারুর আরও অভিযোগ, তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তখন রাজীব পরকীয়াতে জড়িয়েও পড়েন। অন্যদিকে রাজীব বলেন, “ও মেয়ে হওয়ার সমস্ত সুযোগ নিতে চেয়েছে। ও পাগল হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে ওর প্রতি আমার যাবতীয় শ্রদ্ধা চলে গিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছে ওর কাছে কি কোনও প্রমাণ রয়েছে? আমার গোটা পরিবার ওকে ভালবেসেছে, ওর পাশে থেকেছে। আমার থেকেও বেশি আদর পেয়েছে ও। আর তার পরেও এ সব কী করে বলছে ও! এগুলো কি আমার প্রাপ্য? আমি কোনওদিন ওকে ক্ষমা করব না।” কিন্তু ছবি বলছে অন্য কথা।