‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে কেন দেখা যাচ্ছে না চন্দন সেনকে; কী হয়েছে অভিনেতার?

ক্যান্সারজয়ী অভিনেতার পারফরম্যান্স কোনও একটি মাধ্যমে কাটকে থাকেনি। জাত শিল্পী তিনি। যেমন মঞ্চ, তেমন সিরিয়াল, বড় পর্দা। এমনকী ওয়েব সিরিজও তিনি মাতাচ্ছেন। তাঁকে কিছুদিন হল দেখাই যাচ্ছে না খড়কুটোতে। দর্শকদের মনেও কৌতূহল বাড়ছে। কী হল ভজনের? এতকিছু হয়ে যাচ্ছে চিত্রনাট্যে আর তিনিই নেই।

'খড়কুটো' ধারাবাহিকে কেন দেখা যাচ্ছে না চন্দন সেনকে; কী হয়েছে অভিনেতার?
চন্দন সেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 5:25 PM

‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক। যৌথ পরিবারে ঠিক কীভাবে থাকা উচিত, বাড়ির বউকে কীভাবে রাখা উচিত, মানুষের থেকে কীভাবে ভালবাসা আদায় করা উচিত শিখিয়েছে এই ধারাবাহিক। সিরিয়ালের প্রত্যেক সদস্য মনে রাখার মতো। তাদের স্মরণীয় করে তুলেছে সংলাপ ও অভিনেতাদের সংলাপ। কে নেই। সরাসরি মঞ্চ থেকে অভিনেতাদের সসম্মানে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে এসেছেন প্রযোজক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, গুনগুন (অভিনেত্রী তৃণা সাহা) মিসিং। বাবাকে (অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়) শাস্তি দেওয়ার জন্য সে ও স্বামী বাবিন (অভিনেতা কৌশিক রায়) পুটুপিসির (অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত) সঙ্গে মিলে ফন্দি এঁটেছে। এদিকে জ্যাঠাই (অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী) ও জেঠিমার (অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল) বিবাহবার্ষিকীর উৎযাপন। নানাধরনের কাণ্ড-কারখানার মধ্যে একজনকে দেখাই যাচ্ছে না। তিনি না থাকলে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা মনে হয় খড়কুটোর অন্দরমহল। তিনি ভজন, অর্থাৎ মেজকা, অভিনেতা চন্দন সেন।

ক্যান্সারজয়ী অভিনেতার পারফরম্যান্স কোনও একটি মাধ্যমে কাটকে থাকেনি। জাত শিল্পী তিনি। যেমন মঞ্চ, তেমন সিরিয়াল, বড় পর্দা। এমনকী ওয়েব সিরিজও তিনি মাতাচ্ছেন। কিন্তু তাঁকে কিছুদিন হল দেখাই যাচ্ছে না খড়কুটোতে। দর্শকের মনেও কৌতূহল বাড়ছে। কী হল ভজনের? এতকিছু পেরিয়ে গেল চিত্রনাট্যে তিনি নেই।

ভজনের হদিশ পেতে TV9 বাংলার প্রতিনিধি যোগাযোগ করে চন্দন সেনের সঙ্গে। ফোনের ওপাশ থেকে চনমনে কণ্ঠস্বর ভেসে আসে অভিনেতার। তিনি বলেন, “আমি ভাল আছি। ব্যোমকেশে পাঠ করতে গিয়েছিলাম উত্তর বঙ্গে।” সৌমিক হালদার পরিচালিত ব্যোমকেশের ‘চোরাবালি’ গল্প নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করছে এসভিএফ। অভিনয় করছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অর্জুন চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা ঘোষ, সুপ্রভাত রায়। রয়েছেন চন্দনও। যে কারণে খড়কুটো থেকে বেশ কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন চন্দন।

উত্তরবঙ্গে কাজ কেমন হল, জানতে চাওয়ায় চন্দনের উত্তর, “খুবই ভাল শুটিং হয়েছে। সামান্য ৩৯ বছরের কর্মজীবনে প্রথমবার দেখলাম যে জুলাই মাসে তড়াই অঞ্চলে শুটিং হচ্ছে এবং সেখানে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর আগে জুলাই মাসে ৪ বার তড়াইয়ে বিভিন্ন শুটিং করেছি। প্রত্যেকবার কাজ শেষ না করেি ফিরে আসতে হয়েছে। আবার যেতে হয়েছে অক্টোবরে। কারণটা বৃষ্টি। কাজ বন্ধ করে দিতে হত বাধ্য হয়ে। কিন্তু এবারেরটা ব্যতিক্রম। এক শটের জন্যেও যেতে হবে না আমাদের। পরিচালক সৌমিক হালদার তো একজন ডিওপি ছিলেন, পরিষ্কার জানেন কোথায় কোন শট লাগবে। ফলত কাজটা চটপট করা গেছে।”

কাজ করতে গিয়ে নানাধরনের অ্যাডভেঞ্চারেরও মুখোমুখি হয়েছেন চন্দন। ঘিষ নদীর মাঝখানে শুটিং হয়েছে। মাঝেমধ্যে বেড়ে যেত নদীর জল। শেষমেশ শুটিং সেড়ে মহানগরীতে ফিরেছেন অভিনেতা। মঙ্গলবার থেকে যোগ দিয়েছের খড়কুটোর শুটিংয়ে। বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার থেকেই ভজন ফিরবে তাঁর যথাস্থানে শূন্যস্থান পূরণ করতে।

আরও পড়ুনপ্রেমিকাকে নিয়ে প্রিয় বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টিতে ‘মিঠাই’-এর ‘উচ্ছেবাবু’ আদৃত রায়

সাবধান করোনা, পুতুল মানুষ আসছে