সাবধান করোনা, পুতুল মানুষ আসছে

করোনা নিয়ে নানান মজার পুতুল নাটক। বাজারে স্কুলে পাড়ায় এমনকি হাসপাতালেও দেখাচ্ছেন। রিস্ক নিচ্ছেন। পরিবারের সবাই।

সাবধান করোনা, পুতুল মানুষ আসছে
করোনা নিয়ে নানান মজার পুতুল নাটক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 10:30 AM

প্রীতম দে

ছোটরা শুধু পুতুল খেলে। বড়রা নাকি খেলে না। ট্যাংরার বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডলের বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে পুতুল নিয়ে বাড়াবাড়ি বেড়েছে, বৈ কমেনি। উঠতে-বসতে পুতুল। বাজার-হাটে পুতুল। বউয়ের হাতে পুতুল। এমনকি ছেলেকেও ধরিয়েছেন পুতুলের নেশা। এটা অবশ্য ভাল নেশাই বটে। দিলীপবাবুর হাতে পড়ে আরও ভাল হয়ে উঠেছে। নেহাত খেলা নয়, পুতুল দিয়ে মানুষের উপকার করছেন। মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। একটু খেলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে বড় মানুষের এই পুতুল খেলা ব্যাপারটি ঠিক কী।

করোনা নিয়ে নানান মজার পুতুল নাটক। বাজারে স্কুলে পাড়ায় এমনকি হাসপাতালেও দেখাচ্ছেন। রিস্ক নিচ্ছেন। পরিবারের সবাই। ছেলে এখন আবহ সঙ্গীত আর ভিডিও তোলার দায়িত্বে। কারণ লকডাউন ভার্চুয়াল পাপেট শো তো চালু রাখতে হবে।

দিলীপ মণ্ডল বলেন, “করোনার সময় যে যার মতো করে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এ ছাড়া তো আর কিছু পারি না। তাই এটাই মানুষের কাজে লাগাই। সব জায়গায় আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায় না। তা-ও আমরা করি। মনের শান্তি পাই।” স্ত্রী রিনা মণ্ডল হাসেন, “আমি আগে বসে দেখতাম। তারপর নিজের ইচ্ছে হল। শিখলাম। এখন পারফর্মও করি। কী ভাল যে লাগে যখন মানুষ আনন্দ পায়… হাততালি দেয়।”

কিন্তু সংসার চলে কী করে? না, অন্য কোনও পেশা নেই। কিছু সরকারি কাজ, কিছু এনজিও-র অনুষ্ঠানে পুতুল-নাটক দেখিয়ে যা আয় হয়, সবার চলে যায়। করোনার কারণে আয় কমেছে। তাই বলে পুতুল-মানুষ থেমে নেই।

কার্টুনিস্ট ও পুতুলের কারিগর উদয় দেব মণ্ডল দম্পতির কথা শুনে বললেন, “কী যে ভালো লাগে যখন মানুষ আনন্দ পায়… ঠিক এটাকেই শিল্প বলে। আমি বলি। সে সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়া যায়। মানুষ খুশি হয়… সেটাই শিল্প। তা সে ছবি এঁকে হোক অথবা পুতুল গড়েই হোক না কেন! আমার তরফ থেকে একরাশ শুভেচ্ছা রইল সৃষ্টিশীল মণ্ডল পরিবারের জন্য। যদি কোনও রকম ভাবে ওঁদের পাশে থাকতে পারি, খুশি হব।”

আরও পড়ুন- গতবারের দ্বিগুণ প্রতিমার অর্ডার কুমোরটুলিতে