দক্ষিণী অভিনেতা ধনুষ আজ বার্থডে বয়। ৩৮ বছর বয়স পূর্ণ করলেন তিনি। এর মধ্যেই জীবনে প্রচুর সাফল্য পেয়েছেন। ঝুলিতে রয়েছে দুটো জাতীয় পুরস্কারও। জীবনে খুশি থাকা এবং এই সাফল্যের মন্ত্র কী?
শ্বশুরমশাই তথা সুপারস্টার রজনীকান্তের মতোই ধনুষও প্রবল ভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন, প্রতিটি মানুষ নিজে কী চাইছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। তবেই কাজের প্রতি আগ্রহ, প্যাশন থাকবে। পরিশ্রম করলে ভাগ্য সহায় হবেই, মনে করেন তিনি। কিন্তু সঠিক সময়ের জন্য ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না।
ধনুষ মনে করেন, আপনার স্বপ্নের কথা শুনে বাকিরা হয়তো হাসবেন। আপনাকে নিয়ে মজা করবেন। সে সবে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যে কোনও নেগেটিভ মন্তব্যের ক্ষেত্রে কালা হতে হবে।
জীবনে কোনও কিছুই সহজে পাওয়া যায় না বলে মনে করেন ধনুষ। সে কারণেই নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে পরিশ্রম করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। লক্ষ্য স্থির থাকলে দেরিতে হলেও সাফল্য আসবেই।
ধনুষের উপলব্ধি, জীবনে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। বন্ধু, শত্রু, সুসময়, দুঃসময় সবই পরিবর্তনশীল। ফলে কোনও কিছুর প্রতি অত্যাধিক রাগ পুষে রাখা বা ঝগড়া করায় আখেরে কোনও লাভ নেই।
ভালবাসা দিয়ে ঘৃণাকেও জয় করা যায় বলে মনে করেন ধনুষ। ভালবেসে নিজে বাঁচুন এবং অপরকে বাঁচতে সাহায্য করুন, এটাই অভিনেতার জীবনের মন্ত্র। সাধারণ ভাবে জীবন যাপনে বিশ্বাসী তিনি।
ধনুষ মনে করেন, শরীর একটি মন্দির। আর আত্মা হল ঈশ্বর। তাই তার যত্ন নিতে হবে। প্রযুক্তির এত উন্নতি এখন, বাড়ি থেকে না বেরিয়েও মানুষ জীবন ধারণ করতে পারে। শারীরিক ভাবে অন্য কারও সঙ্গে হয়তো দেখাও হয় না। চার্লি চ্যাপলিন এক সময় বলেছিলেন, হাসাও এক রকমের শরীরচর্চা। বর্তমান যুগে যা প্রবল ভাবে প্রয়োজন বলে মনে করেন ধনুষ।