Shamik Bhattacharya: যে মুখে শক্তি চাট্টুজ্জে, সেই মুখেই রাম, কোয়ালিফিকেশন জানেন বিজেপির ‘থিওরিম্যান’ শমীকের?
Shamik Bhattacharya Education Qualification: ২০১৪ সালে প্রথম উপনির্বাচন জয়ী। বিজেপির বিধায়ক হন বসিরহাট দক্ষিণ থেকে। বাদল ভট্টাচার্যর পর বাংলায় বিজেপির দ্বিতীয় বিধায়ক। তারপর যদিও একাধিকবার ভোটে দাঁড়ালেও পরাজয়ের মুখও দেখতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণে ফের দাঁড়ান।

কলকাতা: সদ্য তাঁর কাঁধে এসেছে বিরাট দায়িত্ব। তাঁর কাঁধে ভর করেই এবার ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের বৈতরণী পার করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। একেবারে ছোট্টবেলা থেকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কিশোর বয়সেই হাওড়া জেলা থেকে জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিজেপিতেই রয়েছে প্রায় ৪৪ বছর। ১৯৭১ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক। সেই শমীক ভট্টাচার্যই এখন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই মুসলিমদের কাছে টানতে দিয়েছেন একের পর এক বার্তা। যা নিয়ে বিতর্ক-চাপানউতোরও কম হয়নি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। একদম শুরুতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারকের দায়িত্ব যখন পান তখনই হয় প্রথম পদপ্রাপ্তি। সংগঠনের যুব মোর্চার দঃ হাওড়া মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে আসে তাঁর। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর সাহিত্য চর্চা, তাঁর রাজনৈতিক ইতিহাস চর্চা বারবারই প্রশংসা কুড়িয়েছে নানা বিতর্ক সভায়। যে বিতর্কে রবীন্দ্রনাথ থেকে শক্তি চাটুজ্জে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে তাঁর যুক্তির আঙ্গিকে। এই শমীকের শিক্ষাগত যোগ্যতা কত জানেন?
নির্বাচনী হলফনামা বলছে, স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৮৮ সালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ১১ বছর বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক থেকেছেন। ৩ দফায় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও থেকেছেন তিনি।
২০১৪ সালে প্রথম উপনির্বাচন জয়ী। বিজেপির বিধায়ক হন বসিরহাট দক্ষিণ থেকে। বাদল ভট্টাচার্যর পর বাংলায় বিজেপির দ্বিতীয় বিধায়ক। তারপর যদিও একাধিকবার ভোটে দাঁড়ালেও পরাজয়ের মুখও দেখতে হয়েছে তাঁকে। ২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণে ফের দাঁড়ান। সেইবারের বিধানসভা নির্বাচনে হারতে হয় দীপেন্দু বিশ্বাসের কাছে। লড়েছেন লোকসভা ভোটেও। ২০১৯ সালে দমদম থেকে লড়েছিলেন। তবে জয় সেবারেও আসেনি। হারতে হয়েছিল সৌগত রায়ের কাছে।
তবে থেমে থাকেননি শমীক। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও ফের লড়েন। তবে সেইবারও রাজারহাট গোপালপুর থেকে অদিতি মুন্সির কাছে হেরে যান। তবে এরইমধ্যে আবার রাজ্যসভায় পড়ে তাঁর পা। ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল রাজ্যসভার সাংসদ হন। বাংলা থেকে কার্যত বিনা লড়াইয়ে রাজ্যসভায় যান তিনি। অনন্ত মহারাজের পর বাংলা থেকে বিজেপির দ্বিতীয় রাজ্যসভার সাংসদ। তার আগে যদিও ২০১৯ সালে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্রর দায়িত্বও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে হওয়া বিজেপির প্রথম রাজ্য সভাপতি পদপ্রাপ্তিরও সাক্ষী থেকেছেন এই শমীক, আবার হালের সুকান্ত মজুমদার, সকল নেতৃত্বের রাজ্য সভাপতি হওয়ার সাক্ষী থেকেছেন এই প্রবীণ বিজেপি নেতা।
