
২০২৪-এর ডিসেম্বরে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল, ‘খাদান’ আর ‘সন্তান’। এর মধ্যে জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে ‘খাদান’ ব্যবসা করেছে ২.৮৩ কোটি টাকার। ২০২৫-এ বক্স অফিসে নজর কাড়ল ‘দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা’-র ফল। জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে এই ছবি প্রথম সপ্তাহে প্রায় ১.২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। মানে ছবিটা ব্লকবাস্টার। দুই সপ্তাহে ‘আমার বস’-এর জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসা প্রায় ১.০৮ কোটি টাকা। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিটা জাতীয় মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসা করেছে প্রায় ৯৬ লাখ টাকার। ‘পুরাতন’ জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে ৬৫ লাখ টাকার ব্যবসা করেছে। বেশ ভালো বলা যায়। ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ প্রায় ৫৫ লাখের ব্যবসা করেছে জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে।
‘এই রাত তোমার আমার’ ছবির জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসার অঙ্ক ৫০ লাখের কম। ‘বিনোদিনী’ ছবিটার সেই নিরিখে অঙ্ক ৩২ লাখ। এর বাইরে যা ছবি মুক্তি পেয়েছে তার কোনওটাই ২০ লাখের অঙ্ক ছুঁতে পারেনি জাতীয় স্তরের মাল্টিপ্লেক্সে। কিছুদিন ‘নন্দন’-এর দরজাও বন্ধ ছিল। তাই সিঙ্গল স্ক্রিনে যতটুকু ব্যবসা হয়েছে, তাতে যে প্রযোজকদের চিঁড়ে একেবারেই ভেজেনি, সেটা স্পষ্ট।
ফ্লপ ছবির তালিকা দেখে নেওয়া যাক। ‘তুরুপের তাস’, ‘অপরিচিত’, ‘ফেলুবক্সী’, ‘ঝুমুর’, ‘অমরসঙ্গী’, ‘যদি এমন হতো’, ‘বাবুসোনা’, ‘পরিচয় গুপ্ত’ থেকে ‘গ্রিস আমাদের দেশ না…’, ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’-এর মতো ছবি দর্শক টানতে পারেনি। ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’, ‘পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা’ বা ‘মায়ানগর’-এর মতো ছবি চর্চায় থাকলেও টিকিট বিক্রির অঙ্ক যথেষ্ট নয়। ‘১০ই জুন’, ‘মুখোশে মানুষে খেলা’, ‘গৃহস্থ’, ‘ছাদ’ বা ‘নানা হে’-র মতো ছবিতেই বা দর্শক কই? ফ্লপের তালিকায় যোগ হয়েছে ‘অলক্ষ্যে ঋত্বিক’, ‘বলরাম কাণ্ড’, ‘সুনেত্রা সুন্দরম’, ‘হাঙ্গামা ডট কম’। এরপর এপ্রিল মাস জুড়ে মুক্তি পেল ‘অন্নপূর্ণা’, ‘চেক ইন চেক আউট’, ‘আড়ি’, ‘দুর্গাপুর জংশন’, ‘প্রশ্ন’, ‘ভামিনী’। এগুলোর বক্স অফিসের অঙ্ক নজরকাড়া নয়। মে মাসে মুক্তি পাওয়া ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’-ও বক্স অফিসে ভালো ফল করেনি।