
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক নায়িকাই আছেন, যাঁরা ছোট বয়সেই অভিনয় জগতে পা রেখেছেন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম একজন হলেন সোনম খান। যিনি ৮০-৯০ দশকের ফ্যাশন আইকন, সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পান রাতারাতি। আজ হয়তো অনেকেই তাঁকে চেনেন না। কিন্তু একটা সময় তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। একাধিক হিট ছবি, সাহসী দৃশ্য এবং অনবদ্য স্টাইল স্টেটমেন্ট তাঁকে এনে দেয় আলাদা মাত্রার পরিচিতি।
সোনম খানের বলিউড সফর শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। যদিও তাঁর আসল নাম ছিল বখতাওয়ার খান। তবে বিখ্যাত পরিচালক যশ চোপড়া তাঁর নাম পরিবর্তন করে ‘সোনম’ রাখেন। যশ চোপড়ার দেওয়া এই নামই পরবর্তীতে তাঁকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা এনে দেয়। সোনমের প্রথম ছবি ‘বিজয়’ (১৯৮৮)। ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন অনিল কাপুর, ঋষি কাপুর, হেমা মালিনী, মীনাক্ষী শেশাদ্রি, অনুপম খেরের মতো তারকারা। এই ছবিতে সোনমের একাধিক চুম্বনদৃশ্যে তাঁকে একরাতেই আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেই সময় তাঁকে ‘বোল্ড অভিনেত্রী’ হিসেবেই উল্লেখ করা হতো।
এরপর তিনি অভিনয় করেন ‘ত্রিদেব’ ছবিতে। সেই ছবির ‘ওয়ে ওয়ে’ গান আজও দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি সুপারহিট। সোনম খান ও চাঙ্কি পাণ্ডে অভিনীত ‘মাটি ও সোনা’ ছবিতেও ছিল একাধিক সাহসী দৃশ্য। এই ছবিতে একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেই সোনম আবারও খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে সোনম জানান, তিনি সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু তাঁর এক আত্মীয়াকে সেটে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি সোনমকে রাজি করিয়ে ছিলেন লোভ দেখিয়ে। তা কীসের লোভ জানেন? সোনমকে বলা হয় “নগ্ন দৃশ্য করলে তোমায় চকোলেট দেওয়া হবে।” সোনম বলেন, “আমি তখন খুবই ছোট। আমি চকোলেটের লোভে সেই দৃশ্যে অভিনয় করেছিলাম।”