এই প্রথম বার ইদে বাবার গলার আওয়াজ শুনতে পারব না: গওহর খান

May 13, 2021 | 3:33 PM

মার্চ মাসের ৫ তারিখ মারা যান গওহর খানের বাবা। বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে গওহর লিখেছিলেন, “আমার হিরো। তোমার মতো কেউ হতে পারবে না। আমার বাবা মারা গেলেন। তাঁর এই চলে যাওয়া তাঁর জীবনের সুন্দর দলিল হয়ে রয়ে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল কত সুন্দর মানুষ ছিলেন তিনি। আমি অনেকটা তোমারই মতো বাবা।"

এই প্রথম বার ইদে বাবার গলার আওয়াজ শুনতে পারব না: গওহর খান
গওহর খান

Follow Us

এই ইদ সাক্ষী হতে চলেছে অভিনেত্রী গওহর খানের প্রথম অনেক কিছুর। বিয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম ইদ। অন্যদিকে এই প্রথম বার বাবাকে ছাড়া ইদ কাটবে তাঁর। এই ইদে নতুন জামাকাপড় কেননি গওহর। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বিয়েতে যে সব পোশাক পেয়েছেন তাঁর বেশিরভাগই যেহেতু পরে উঠতে পারেননি তাই বাড়িতেই ইদ পালন করে তার সদ্গতি করবেন গওহর।

গত বছর বকরি ইদের সময়েই স্বামী তখন বয়ফ্রেন্ড জইদের সঙ্গে মায়ের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন গওহর। তাঁকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিলেন নতুন ফোনও। গওহরের কথায়, “ও খুশি হয়েছিল। কিন্তু এক ঘণ্টা ধরে ফোনটা নেড়েচেড়ে দেখার পর আমাকে বলল, হয়তো আমি এটা চাই না। ও আদপে শিশু।”


পরপর দু’দুটো ইদ লকডাউনেই (মুম্বইয়ে এই মুহূর্তে পূর্ণ লকডাউন) কাটিয়ে দিতে হল তাঁকে। কষ্ট হচ্ছে ? গওহর যোগ করেন, “আনন্দ অনুষ্ঠানের সময় লকডাউন কার ভাল লাগে? তবে একটা উপকার হয়েছে, রামজানে বিরক্ত করার কেউ নেই। ইবাদত অনেক শান্তিতে হয়।”

আরও পড়ুন- টলিপাড়ায় বিনামূল্যে র‍্যাপিড টেস্ট শুরু টেকনিশিয়ানদের, আক্রান্ত বেশ কয়েক জন, নেই উপসর্গ

জইদের সঙ্গে প্রথম ইদ, বাড়িতেই সেলিব্রেশন…এত আনন্দের মতো কোথাও গিয়ে বাবাকে কতটা মিস করবেন তিনি? গওহর বললেন, “ভাবতে পারছি না জানেন এ বারে ইদে প্রথমবার বাবার গলার আওয়াজ শুনতে পারব না…আমার বাবার ৭৬ হয়েছিল। কিন্তু সব সন্তানই তো চায় তাঁদের বাবা-মা ১০০ বছর আয়ু পাক। যতদিন বেঁচে ছিল, রাজার মতো বেঁচে ছিল আমার বাবা…”।

মার্চ মাসের ৫ তারিখ মারা যান গওহর খানের বাবা। বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে গওহর লিখেছিলেন, “আমার হিরো। তোমার মতো কেউ হতে পারবে না। আমার বাবা মারা গেলেন। তাঁর এই চলে যাওয়া তাঁর জীবনের সুন্দর দলিল হয়ে রয়ে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল কত সুন্দর মানুষ ছিলেন তিনি। আমি অনেকটা তোমারই মতো বাবা। যদিও তোমার মতো ছিটেফোঁটাও হতে পারব না কোনও দিন। তোমায় খুব ভালবাসি পাপা, খুব।”

Next Article