‘গদর টু’ ছবি মুক্তির পর এবং সেই ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পাওয়ার পর ফের লাইমলাইটে চলে এসেছেন দেওল পরিবারের জ্যেষ্ঠপুত্র সানি দেওল। ধর্মেন্দ্র-পুত্রকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। প্রচুর ছবির অফার আসছে তাঁর কাছে। আমির খান প্রযোজিত ‘লাহোর ১৯৪৭’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন সানি। রণবীর কাপুরের ছবি ‘রামায়ণ’-এ হনুমানের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকেই। এই সানি তাঁর সৎ মা হেমা মালিনীকে নাকি একবার ছুরির আঘাত দিতে গিয়েছিলেন। রাগারাগি চরমে ওঠার পর হঠকারী পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছিলেন নাকি। যদিও সেই খবরকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সানির মা প্রকাশ দেওল। পরবর্তীতে হেমা মালিনীও জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে সানি দেওলের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। সানি দেওল কিন্তু তাঁর স্ত্রী পূজা দেওলকে আজ পর্যন্ত লাইমলাইটে আনেননি। এর ব্যাখ্যা তিনি দেবেন ‘কফি উইথ করণ’-এর অষ্টম সিজ়নে।
কেন সানি তাঁর স্ত্রী পূজাকে কোনওদিনও লাইনলাইটে এলেন না? এমনকী, তাঁকে কেমন দেখতে, তাও মানুষের স্মৃতিতে নেই। যদিও এ ব্যাপারে সানি জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই স্ত্রীকে তিনি কোনওদিনও লাইন-লাইটে আনেননি।
পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম হলেও কোনওদিনও মদ্যপান করেন না সানি। তিনি কখনওই রাতের পার্টিতে যান না। সানি বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত আমি ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠি। যদি ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হয়, তাহলে রাতে পার্টি করলে চলে না। আমরা যে পেশায় রয়েছি, সারাক্ষণই আলোচনা আমাদের নিয়ে। বাড়ি ফিরে তাই নিজের সঙ্গে, নিজের পরিবারের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে চাই। ঠিক সেই কারণেই আমি কিংবা আমার স্ত্রী পূজা অন্তরালেই থেকেছি চিরকাল। বিদেশে চলে যাই। সেখানে আমাকে কেউ বিরক্ত করেন না।” এতে আক্ষেপ নেই পূজারও। পরিবার অন্তঃপ্রাণ সানি বিষয়টিকে কখনওই নেতিবাচক হিসেবে দেখেননি।