রজতাভ ভোট দেবেন ‘শাস্তি’ দিতে, এ কেমন কথা! TV9 বাংলাকে ব্যাখ্যা অভিনেতার
Rajatabha Dutta Secrets: ভোটের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, ভোটকে কেন্দ্র করে তাঁদের চিন্তাভাবনা শুনছে TV9 বাংলা। সেই কারণেই যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতা রজতাভ দত্তর সঙ্গে। ভোটকে কেন্দ্র করে তাঁর কী ধ্যানধারণা, ঠিক কী দেখে একজন প্রার্থীকে রজতাভ ভোট দেন, সরকারের থেকে তাঁর প্রত্যাশা ঠিক কী, তা শুনে নিল TV9 বাংলা।
চলছেন লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গ এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রথম দফার ভোট পর্ব মিটেছে। এই তপ্ত গরমে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ প্রয়োগ করছেন তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার। সেই লাইনে মাঝেসাঝে দেখা মিলছে খ্যাতনামীদেরও। তাঁদের ভোটের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, ভোটকে কেন্দ্র করে তাঁদের চিন্তাভাবনা শুনছে TV9 বাংলা। সেই কারণেই যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতা রজতাভ দত্তর সঙ্গে। ভোটকে কেন্দ্র করে তাঁর কী ধ্যানধারণা, ঠিক কী দেখে একজন প্রার্থীকে রজতাভ ভোট দেন, সরকারের থেকে তাঁর প্রত্যাশা ঠিক কী, তা শুনে নিল TV9 বাংলা।
তাঁর অভিনয়, বই পড়া নেই ব্যস্ত থাকেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত। রাজনীতির ময়দানে দেখতে পাওয়া যায় না তাঁকে। তবে তিনি রাজনীতি-সচেতন মানুষ। দেশে কী ঘটছেস না ঘটছে তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পোষণ করেন অভিনেতা। ঠিক কী ভেবে কোনও প্রার্থাকে ভোট দেন রজতাভ, এই প্রশ্ন করায় অভিনেতা অপকট বলে ফেলেন, “অনেক সময় কিন্তু আমি শাস্তি দিতেও ভোট দিই আমি।”
শাস্তি দিতে ভোট দেন রজতাভ! এ রকম কথা আগে কি কেউ কখনও শুনেছেন? এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিনেতা। রজতাভর স্পষ্ট বক্তব্য, “ধরুন আমি একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কিন্তু সেই রাজনৈতিক দল আমার আশা অনুযায়ী কোনও কাজই করছে না। তাঁকে ভোট দেব না আর। আমি তো জেনে গিয়েছি তাঁকে ভোট দিলে কোনও কাজই হবে না। তাই তাঁকে শায়েস্তা করতে আমি অন্য যে রাজনৈতিক দল বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে, তাকে ভোটটা দেব। এতে যে কাজ না করে, অথচ ক্ষমতায় ছিল এতদিন, তার টনকটা নড়বে। ভোটার চলে যাচ্ছে, সেই আশঙ্কায় সে নিজেকে শুধরে নেবে।”
এই খবরটিও পড়ুন
রজতাভ দত্তর কন্যার এবার প্রথম ভোট। তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে ইংরেজি নিয়ে স্নাতকস্তরে লেখাপড়া করছেন। মেয়েকে ভোট দিতে যাওয়ার আগে ঠিক কী বলতে চান রজতাভ? অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, “আমি ওকে কিছুই বলব না। যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল সে। চারপাশে কী ঘটছে নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছে আমার কন্যা। ফলে ওর যেটা নিজের বোধবুদ্ধিতে আসে, নাগরিকত্বের সাক্ষ্য রাখতে গিয়ে সেটাই প্রয়োগ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি কেবল পাশে থাকব।”