Exclusive: ঋ ক্ষমা করেননি, ‘মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছি, খোঁজ নেয়নি আমার প্রেমিক কিউ, অন্য মহিলার সঙ্গে ব্যস্ত ছিল’
Rituparna Sen: বিখ্যাতদের ক্ষমা না করতে পারা মুহূর্ত শুনে নিচ্ছে TV9 বাংলা ডিজিটাল। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (ঋ নামেই তিনি এখন বেশি পরিচিত)-ও সে রকম ক্ষমা করতে পারিনি মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন TV9 বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে। বলেছেন, "আমার প্রেমিক আমার সঙ্গে যা করেছেন, মাঝেমধ্যে ভাবি, মানুষ কীভাবে এমনটা করতে পারে!"

ক্ষমা করাই পরম ধর্ম। ছোট থেকে এমন কথা শুনেই বড় হন সকলে। কিন্তু সবক্ষেত্রে সবাইকে কি সত্যিই ক্ষমা করা যায়? হয়তো যায় না। আমাদের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যা ক্ষমারও অযোগ্য। তারকাদের সঙ্গেও তেমনটা ঘটে। তাঁরাও সকলে জীবনে এমন কিছু পরিস্থিতির সম্মুখীন হন কিংবা হচ্ছেন, যা ক্ষমা করা কঠিন। বিখ্যাতদের সেই সব ক্ষমা না করতে পারা মুহূর্ত শুনে নিচ্ছে TV9 বাংলা ডিজিটাল। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (ঋ নামেই তিনি এখন বেশি পরিচিত)-ও সে রকম ক্ষমা করতে পারিনি মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন TV9 বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে। বলেছেন, “আমার প্রেমিক আমার সঙ্গে যা করেছেন, মাঝেমধ্যে ভাবি, মানুষ কীভাবে এমনটা করতে পারে!”
পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন। সম্পর্কে থাকাকালীনই তা রা একে-অপরকে নাম দিয়েছিলেন ঋ এবং কিউ। কিউয়ের পরিচালনায় তৈরি ‘গান্ডু: দ্য লুজ়ার’-এর মতো ছবিতে চূড়ান্ত নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন ঋ। তখন কিউয়ের প্রেমে ডুবে থাকতেন অভিনেত্রী। একসঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। ১১ বছর লিভ-ইন করার পর সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরে। এবং সেই ভাঙন ধরার সময়ই প্রেমিক কিউয়ের থেকে চরমতম আঘাতটা পান ঋ।
অভিনেত্রী বলেছেন, “কিউয়ের সঙ্গে আমার ব্রেকআপ চলছিল যখন টাইফয়েডে পড়ি। এক্কেবারে একলা হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় কিউ কিন্তু একবারের জন্যেও আমার খোঁজ নেয়নি। আমাকে দেখতে আসেনি। একবারও জানতে চায়নি আমি বেঁচে আছি না মরে গিয়েছি। আমি হয়তো সেই সময় মরেই যেতে পারতাম। শুনেছিলাম ও অন্য মহিলার সঙ্গে ব্যস্ত।” কথা বলতে-বলতে গলা ধরে আসে ঋয়ের। বলেন, “আমি কাঁদতে-কাঁদতে ভাবতাম, একটা মানুষ কীভাবে এরকম করতে পারে। যে মানুষটাকে একটা সময় কত ভালবেসেছিলাম, নাই থাকতে পারি আমরা একসঙ্গে, একবারও খোঁজ নেবে না। ওর পা ভেঙে গিয়েছিল যখন, আমি কিন্তু খোঁজ নিয়েছিলাম।”
কেবল কিউ নন, মা বেঁচে থাকাকালীন দাদারও অনেক ব্যবহার ভাল লাগেনি ঋ-এর। অভিনেত্রীর মনে হত, “দাদা কী করে এরকম আচরণ করতে পারে আমার সঙ্গে। কিন্তু তারপর বুঝলাম, অল কার্মা। এই দাদা কিন্তু এখন অনেক পাল্টে গিয়েছে। বুঝলাম সুখে-দুঃখে মানুষ। তুমি যা দেবে, তাই ফেরত পাবে।” ফেরত পেয়েওছেন ঋ। জানিয়েছিলেন, সৎ বাবা এবং মায়ের সঙ্গে শেষের দিকে দুর্ব্যবহার করেছিলেন বলে পরবর্তী সময়ে তিনি একাকী হয়ে গিয়েছেন।





