Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মর্গ থেকে বেরিয়েছিলাম দৌড়ে’, কোন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা স্বীকার ঊষসীর

Ushasi Roy As A Dead Body: ময়নাতদন্তে মৃতের শরীরকে যেভাবে কাটাছেঁড়া করা হয়, সেভাবে তাঁর শরীরটাকেও কাটা হয়েছে। মাথায় মোটা সুতোর সেলাই, গলা-বুকেও সেই সেলাইয়ে দগদগে মোটা রেখা দৃশ্যমান। এ কেমন পরিণতি হয়েছে ঊষসীর। গা শিউরে ওঠার মতো পরিস্থিতি।

'মর্গ থেকে বেরিয়েছিলাম দৌড়ে', কোন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা স্বীকার ঊষসীর
ঊষসী রায়।
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2024 | 10:54 AM

এক সপ্তাহের মরা। মর্গে পড়ে আছে। তদন্ত চলছে। কে মেরেছে এবং কীভাবে মারা হয়েছে মেয়েটিকে, তা নিয়ে থানা-পুলিশ হচ্ছে। সেই মেয়েটি আর কেউ নয়, বাংলা বিনোদন জগতের সাম্প্রতিককালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊষসী রায়। তাঁরই ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃতের শরীরকে যেভাবে কাটাছেঁড়া করা হয়, সেভাবে তাঁর শরীরটাকেও কাটা হয়েছে। মাথায় মোটা সুতোর সেলাই, গলা-বুকেও সেই সেলাইয়ে দগদগে মোটা রেখা দৃশ্যমান। এ কেমন পরিণতি হয়েছে ঊষসীর। গা শিউরে ওঠার মতো পরিস্থিতি।

কিছুদিন আগেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিম করতে শুরু করে অভিনেত্রী ঊষসী রায় অভিনীত ছোটলোক ওয়েব সিরিজ়টি। যে ওয়েব সিরিজ় স্ট্রিম করা মাত্রই অভিনেত্রী দামিনী বেনি বসুকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনিই তদন্তকারী অফিসারের চরিত্রে। সেই ওয়েব সিরিজ়েই যে মেয়েটির খুন নিয়ে তোলপাড়, তিনি অভিনেত্রী ঊষসী রায়। প্রথম এপিসোডেই ঊষসীর রহস্যজনক মৃত্যু দেখানো হয়। এবং গোটা সিরিজ়ে তাঁর উপস্থিতি মর্গে। মৃতার চরিত্রে। যে মৃতা সাজতে দিনে আড়াই ঘণ্টা সময় দিতে হয়েছে ঊষসীকে।

টলিপাড়ার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডুই ঊষসীর মেকআপ করেছেন। অভিনেত্রী তা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন শুরু থেকেই। TV9 বাংলাকে তিনি বলেছিলেন, “সোমনাথদা ছাড়া এই মেকআপ কে করতে পারবেন বলুন। আমাকে এত সুন্দর মরা সাজিয়েছে, যে বলার না। আমি নিজেই নিজেকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”

এবং তিন আরও বলেন, “ঘণ্টার পর-ঘণ্টা প্রস্থেটিক মেকআপ করার সময় বিরক্তি এসে যাওয়ার কথা। কিন্তু সোমনাথদা নিখুঁতভাবে প্রত্যেকটা কাজ করেছেন। আমার কোনও অসুবিধাই হয়নি। এই মেকআপ করতে যত সময় লাগে, তুলতে সময় লাগে না। পরিচালক ‘কাট’ বলেছেন আর আমি মর্গ থেকে মেকআপ তুলতে-তুলতে ভ্যান পর্যন্ত এসেছি…”